Thank you for trying Sticky AMP!!

পঞ্চগড়ে কুমিল্লা ফেরত ৪৮শ্রমিক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে

প্রতীকী ছবি

পঞ্চগড়ে কুমিল্লাফেরত ৪৮ জন শ্রমিককে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধায় জেলার সদর উপজেলার জগদল ডিগ্রি কলেজের একাডেমিক ভবনে তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা থেকে ফিরে আসা ৪৮ জন শ্রমিক পঞ্চগড় সদর উপজেলার পঞ্চগড় সদর, অমরখানা এবং সাতমেরা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাঁরা কুমিল্লায় পল্লী বিদ্যুতের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তাঁরা জগদল ডিগ্রি কলেজের একাডেমিক ভবনে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন শেষ করে বাড়িতে ফিরতে পারবেন। বর্তমানে তাঁরা সবাই সুস্থ্ আছেন। তবে তাঁরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না, তা পরীক্ষার করার জন্য তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠোনো হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে পঞ্চগড় থেকে এসব শ্রমিক পল্লী বিদ্যুতের কাজ করার জন্য কুমিল্লা জেলায় যান। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকারের ঘরে থাকার নির্দেশনা আর লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েন তাঁরা। এতে বেশ কিছুদিন ধরে তাঁরা মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। পরে তাঁদের স্বজনেরা পঞ্চগড়-১ আসনের সাংসদ মজাহারুল হক প্রধানের কাছে তাঁদের ফিরিয়ে আনতে অনুরোধ করেন। এরপর সাংসদ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন। আজ শুক্রবার চারটি মাইক্রোবাসে তাঁদের পঞ্চগড়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।

জগদল ডিগ্রি কলেজে এসব শ্রমিককে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে—এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার বিকেলে ওই এলাকায় বাস করা শতাধিক মানুষ এর প্রতিবাদে সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুদর্শন কুমার রায় বলেন, জগদল ডিগ্রি কলেজে ওই শ্রমিকদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে পুলিশের সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে। সন্ধ্যায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকেরা সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের দেখে এসেছেন। বর্তমানে তাঁরা সবাই সুস্থ আছেন। এরপরও করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁদের প্রত্যেকের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুরে পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে পঞ্চগড়-১ আসনের সাংসদ মজাহারুল হক বলেন, ‘এই শ্রমিকেরা কুমিল্লায় কাজ করতে গিয়ে করোনাভাইরাসের কারণে বিপদে পড়েছিলেন। তাঁরা আমাদের এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের বাড়িতে ফিরে আসার অধিকার আছে। এখানে বাধা দেওয়ার কিছুই নেই। তাঁদের মাধ্যমে যেন করোনার বিস্তার না ঘটে, সে জন্য তাঁদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ১৪ দিন আমি তাঁদের খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র সরবরাহ করব।’