Thank you for trying Sticky AMP!!

দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে আজ সকালে স্থানীয় জেলে ওয়াসেল হালদারের জালে ৩৪ কেজি ওজনের এই বাগাড় মাছটি ধরা পড়ে

পদ্মায় জেলের জালে আটকা পড়ল ৩৪ কেজির বাগাড়, দাম ৩৫ হাজার ৭০০

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় পদ্মা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে ৩৪ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ। পরে মাছটি ৩৫ হাজার ৭০০ টাকায় স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ী কেনেন। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে স্থানীয় জেলে ওয়াসেল হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, প্রতিদিনের মতো গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জাল নিয়ে নদীতে মাছ শিকারে বের হন জেলে ওয়াসেল হালদার ও তাঁর সঙ্গীরা। রাতে দুটি ছোট আকারের মাছ পেলেও আশায় ছিলেন বড় কোনো মাছ শিকারের। আজ সকালে নদী থেকে জাল তোলার সময় জালে মাছ ঝাঁকি দেয়। এরপর জাল নৌকায় তুলতেই দেখতে পান বড় একটি বাগাড় মাছ। মাছটি বিক্রির জন্য তাঁরা সকাল ৯টার দিকে দৌলতদিয়া মাছবাজারে নিয়ে আসেন। সেখানে একটি আড়তে নিলামে তোলা হলে কেজিপ্রতি ১ হাজার ৫০ টাকা দরে ৩৫ হাজার ৭০০ টাকায় স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মুহাম্মদ আলী মাছটি কিনে নেন।

মাছ ব্যবসায়ী মুহাম্মদ আলী বলেন, বাগাড় মাছটি উন্মুক্ত নিলামে কিনে আবার বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হচ্ছে। মাছটির দাম কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা লাভ পেলে বিক্রি করা হবে। মাছটি ফেরিঘাটের পন্টুনের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রেখেছেন বলে বেলা ১১টার দিকে তিনি জানান।

জেলে ওয়াসেল হালদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল রাতে মাছ ধরতে নদীতে যাই। সকাল ছয়টার দিকে জাল তুলতেই দেখি, বড় এই মাছটি আটকা পড়েছে। অনেক দিন পর এমন একটি মাছ পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। মাছটির ভালো দামও পেয়েছি।’

গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, বছরে নির্দিষ্ট সময়ে ইলিশ মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে এই মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পায়। এ ছাড়া এখন নদীতে পানি বাড়ার কারণে পাঙাশ, রুই, কাতলা, বোয়াল, বাগাড়সহ দেশীয় বড় প্রজাতির মাছ আরও ধরা পড়বে। আগামী প্রজন্মের জন্য এই মাছের স্থায়ী অভয়াশ্রম করা গেলে এমন মাছের বংশবৃদ্ধিসহ আরও বেশি মাছ পাওয়া যেত বলেন তিনি জানান।