Thank you for trying Sticky AMP!!

পদ্মা সেতুর ৩৩তম স্প্যান বসতে পারে সোমবার

ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে পদ্মা সেতু

আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক পরিবেশ ঠিক থাকলে সোমবার (১৯ অক্টোবর) পদ্মা সেতুর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর পিয়ারের (খুঁটি) ওপর বসানো হবে ৩৩তম স্প্যানটি। ৩২তম স্প্যানটি বসানোর আট দিনের মাথায় পরের স্প্যানটি বসানো হবে বলে জানিয়েছেন সেতু–সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৩৩তম স্প্যানটি বসানো হলে পদ্মা সেতুর ওপর আর আটটি স্প্যান বসানো বাকি থাকবে। ১১ অক্টোবর মাওয়া প্রান্তের ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয় ৩২তম স্প্যান। এ মাসে আরও দুটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

পদ্মা সেতুর প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, করোনাভাইরাস ও বন্যার কারণে স্প্যান বসানোর কার্যক্রমে ধীরগতি দেখা দিয়েছিল। সবকিছু পাশ কাটিয়ে দ্রুত কাজ চলছে। বর্তমানে পদ্মা নদীতে পানির গভীরতা অনুকূলে আসায় প্রকৌশলীরা স্প্যান বসানোর কাজে গতি এনেছেন। সোমবার সকাল ৮টার দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেনটি নির্দিষ্ট পিয়ারের দিকে যাত্রা শুরু করবে। ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের ‘ওয়ান সি’ নামের স্প্যানটি নির্দিষ্ট পিলারের কাছে নেওয়া হবে। কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে পিলারের দূরত্ব খুব বেশি না থাকায় এক দিনের মধ্যেই স্প্যানটি বসানো যাবে বলে জানিয়েছেন প্রকৌশলীরা।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ ঠিক থাকলে সোমবারই স্প্যানটি বসানো হবে। বেশি সমস্যা দেখা দিলে মঙ্গলবার বসানোর কাজ সম্পন্ন করা হবে। ২৫ ও ৩০ অক্টোবর মাওয়া প্রান্তে আরও দুটি স্প্যান বসানো হবে। ৩৩তম স্প্যানটি সফলভাবে পদ্মা সেতুতে বসানোর পর বাকি থাকবে আর মাত্র আটটি স্প্যান। ডিসেম্বরের মধ্যেই সব স্প্যান বসানো শেষ হবে। স্প্যানগুলো মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আছে।

সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রয়োজন হবে ২ হাজার ৯১৭টি রোড ওয়ে স্লাব। এরই মধ্যে ১ হাজার ৪১টির বেশি রোড স্লাব বসানো হয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্লাব বসানো হবে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১ হাজার ৫০০টির বেশি। মূল সেতুর কাজ ৯০ ভাগ ও সার্বিক কাজ ৮১ দশমিক ৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতুর কাঠামো। সেতুর ওপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন।