Thank you for trying Sticky AMP!!

পাথর কোয়ারি খোলার দাবিতে সিলেটের মহাসমাবেশ স্থগিত

সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও জৈন্তাপুরে সাতটি পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে

সিলেটের পাথর কোয়ারি খোলার দাবিতে ডাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশ স্থগিত করেছে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার সংগঠনটির আহ্বায়ক গোলাম হাদী ছয়ফুল ও সদস্যসচিব আবু সরকার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

১৬ জানুয়ারি সিলেট নগরীর উপকণ্ঠের হুমায়ুন রশীদ চত্বরে এই মহাসমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। পাথর কোয়ারি খোলার দাবিতে গত ২২ ডিসেম্বর ৭২ ঘণ্টা গণপরিবহন ধর্মঘট পালন করে সংগঠনটি। এই ধর্মঘট পালন পরবর্তী ‘মূল্যায়ন ও করণীয় সভা’ হয় ৬ জানুয়ারি। ওই সভায় সর্বসম্মতি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভাগীয় মহাসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল।

বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেটের পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার বিষয়ে এর আগে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা স্থানীয় প্রশাসন বাস্তবায়ন না করায় সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতকে যথাযথভাবে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়টি উচ্চ আদালতে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। পাশাপাশি সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান চলমান অচলাবস্থা নিরসনে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক গোলাম হাদী বলেন, এই দুই প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে ১৬ জানুয়ারি পূর্বঘোষিত বিভাগীয় মহাসমাবেশ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও জৈন্তাপুরে সাতটি পাথর কোয়ারি বন্ধ রয়েছে। এসব পাথর কোয়ারিতে পাথর উত্তোলন ও পরিবহন খাতে লক্ষাধিক শ্রমিক সংশ্লিষ্ট। পাথর কোয়ারি বন্ধ থাকায় শ্রমিক বেকার হওয়ার পাশাপাশি পণ্য পরিবহন খাতেও কর্মহীনতা দেখা দেওয়ায় পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সমর্থনে আন্দোলন করছিল সংগঠনটি।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পাথর কোয়ারির মূল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডিসি)। জেলার ৭টি পাথর কোয়ারিতে নিষিদ্ধ যন্ত্র দিয়ে যত্রতত্রভাবে পাথর তোলায় ২০০৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৯৬ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি থেকে গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭৮ শ্রমিক নিহত হন। পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পাথর কোয়ারি বন্ধ রাখতে জেলা প্রশাসন বিএমডিসির সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে।