Thank you for trying Sticky AMP!!

পানি থেকে উদ্ধারে ৯৯৯–এ ফোন

দিনের আলো মিলিয়ে তখন সন্ধ্যা। এমন সময় সড়কসংলগ্ন পুকুরে বড় ধরনের কিছু পড়ার মতো আওয়াজ হয়। পুকুরের আশপাশে থাকা মানুষজন এগিয়ে গিয়ে দেখতে পান এক ব্যক্তি পুকুরের পানিতে ডুব দিচ্ছেন আবার ভেসে উঠছেন। তাঁকে পানি থেকে উঠে আসার অনুরোধ জানালে তিনি অসংলগ্ন কথা বলতে থাকেন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে পানিতে চোবানোর ভয় দেখান। অবস্থা বেগতিক দেখতে পেয়ে এক ব্যক্তি ৯৯৯–এ ফোন দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে তাঁকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধার করেন।

গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সিলেট নগরের আখালিয়া ধানু হাটা  এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সিলেট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা যীশু তালুকদার প্রথম আলোকে জানান, জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিসহ একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে যায়। পানিতে থাকা ওই ব্যক্তি একবার ডুব দিচ্ছিল আবার পানিতে ভেসে উঠছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমে পুকুরে থাকা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে কোনো ক্ষতি করবে কি না, সেটি পর্যালোচনা করি। পরে একজন ডুবুরিসহ উদ্ধারকারী দলের চারজন পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম নিয়ে পানিতে নেমে তাঁকে উদ্ধার করে।’

সিলেট ফায়ার সার্ভিসের কর্মী মো. মামুন মিয়া বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া আলাল মিয়া নিজের নাম ও ঠিকানা বলতে পারেন। তাঁর দেওয়া নাম–ঠিকানা শুনে জানতে পারি তিনি আমার পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা। পরে আমি তাঁর শ্যালক হোসেন মিয়ার মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করে যোগাযোগ করি। তাঁর সঙ্গে আলাপ করে জানতে পারি যে আলাল মিয়া প্রায় ছয় মাস ধরে বাড়ি থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী।’

আখালিয়া ধানু হাটা এলাকার স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন পূর্বাশা যুবকল্যাণ সংস্থার সভাপতি আবিদুর রহমান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারের পর তাঁর নাম–পরিচয় জানতে পারেন। পরে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।