Thank you for trying Sticky AMP!!

পারিবারিক কলহে যুবক নিহত, মাটি খুঁড়ে মিলল লাশ

লাশ উদ্ধার করতে খোঁড়া হচ্ছে ডোবার পাশের মাটি। আজ মঙ্গলবার সকালে মাধবদীর শান্তিরপুর বাজার এলাকার দাইরের পাড় গ্রামে

নরসিংদীর মাধবদীতে হত্যাকাণ্ডের আট দিন পর ডোবার মাটি খুঁড়ে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মাধবদীর মহিষাশুড়া ইউনিয়নের শান্তিরপুর বাজার এলাকার দাইরের পাড় গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বলছে, পারিবারিক কলহের জেরে ওই যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশ মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়।

নিহত ওই যুবকের নাম মো. সোহাগ মিয়া (২২)। তিনি শান্তিরপুর বাজার এলাকার দাইরের পাড় গ্রামের সানাউল্লাহ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের মা ও ছোট ভাই জহিরুলকে আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২ মার্চ রাতে মো. সোহাগ মিয়া নেশা–জাতীয় কিছু পান করে বাড়িতে এসে তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা–কাটাকাটি ও গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে মাকে মারধর করতে থাকেন তিনি। এ সময় তাঁর বাবা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকেও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে ছোট ভাই জহিরুল মিয়ার স্ত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন সোহাগ। এসব ঘটনা দেখে ছোট ভাই জহিরুল মিয়াও সোহাগের ওপর উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এ সময় একটি ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে সোহাগের মাথায় আঘাত করেন জহিরুল। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে ওই রাতেই ঘটনা ধামাচাপা দিতে সোহাগের লাশ বাড়ির পাশের একটি ডোবায় মাটিচাপা দেন তাঁরা।

স্থানীয় লোকজন জানান, ২ মার্চ রাতের ঘটনার পর থেকে সোহাগকে এলাকায় দেখতে না পেয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে নানা রকম জল্পনা–কল্পনা শুরু হয়। কয়েক দিন আগে বিষয়টি জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন করে জানান স্থানীয় লোকজন। সেখান থেকে মাধবদী থানায় বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে।

পুলিশের ভাষ্য, এ ঘটনায় নিহতের দুই ছোট ভাইয়ের স্ত্রীদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে তাঁরা পুলিশের কাছে ঘটনার আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেন। তাঁদের দেওয়া তথ্যে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাড়ির পাশের একটি ডোবার পাড়ে মাটি খোঁড়া হয়। পরে দুপুরের দিকে সোহাগের লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দুজ্জামান বলেন, পারিবারিক কলহের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার পর ওই যুবকের লাশ গুম করে পার্শ্ববর্তী একটি ডোবার পাড়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের মা ও ছোট ভাই জহিরুলকে আটক করেছে পুলিশ।