Thank you for trying Sticky AMP!!

পালকিতে চড়ে এলেন বর

হারিয়ে যাওয়া বাঙালির ঐতিহ্য পালকিতে চড়ে বিয়ে করতে যাচ্ছেন বর। আজ শুক্রবার সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের ধানগড়ায়।

পালকিতে চড়ে বিয়েবাড়ি এলেন বর। হারিয়ে যাওয়া বাঙালির ঐতিহ্যের স্মারক পালকিতে বরযাত্রা দেখতে এ সময় বিয়েবাড়ি ও সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ভিড় করে উৎসুক মানুষ। আজ শুক্রবার সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়ায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে বরযাত্রায় এমন দৃশ্য দেখা যায়।

উপজেলার সরকারি বেগম নূরুণনাহার তর্কবাগীশ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রায়গঞ্জ পৌরসভার ধানগড়া এলাকার বাসিন্দা আবদুল মোত্তালেব সেখের একমাত্র ছেলে মো. মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে একই এলাকার ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে রেজওয়ানা মেহনাজের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল এদিন।

আধুনিকতার জোয়ারে পালকির জন্য তেমন আর ডাক পড়ে না। তবে মাঝেমধ্যে ডাক পেলে খুব ভালো লাগে। সারা বছর কৃষিকাজসহ নানা কাজে ব্যস্ত থাকলেও পালকির জন্য ডাক পড়লেই সঙ্গীরা ছুটে আসে।
নিমাই চন্দ্র দাস, বেহারাদের সর্দার

চার বেহারার পালকিতে চড়ে বর আসেন বিয়েবাড়িতে। এমন আয়োজনের কথা জানিয়ে বরের মামা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বর-কনের বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় স্বল্প দূরত্ব পাড়ি দিতে পালকিতে বরযাত্রার ব্যবস্থা করা হয়। এর মধ্য দিয়ে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি।’

বেহারাদের সর্দার নিমাই চন্দ্র দাস (৫৫) বলেন, ‘আধুনিকতার জোয়ারে পালকির জন্য তেমন আর ডাক পড়ে না। তবে মাঝেমধ্যে ডাক পেলে খুব ভালো লাগে। সারা বছর কৃষিকাজসহ নানা কাজে ব্যস্ত থাকলেও পালকির জন্য ডাক পড়লেই সঙ্গীরা ছুটে আসে।’ প্রতিটি বিয়ের বরযাত্রায় ২ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার হয় বলে তিনি জানান।

অনেক বছর পরে পালকিতে বরযাত্রা দেখে ভালো লাগল।
মো. সিরাজুল হক, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, সরকারি বেগম নূরুণনাহার তর্কবাগীশ কলেজ

ধানঘরা উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবু ইউছফ জাকারিয়া পালকিতে বরযাত্রার আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য রক্ষায় চেষ্টা করা দরকার।

সরকারি বেগম নূরুণনাহার তর্কবাগীশ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সিরাজুল হক বলেন, ‘অনেক বছর পরে পালকিতে বরযাত্রা দেখে ভালো লাগল।’