পাহাড়ি ঢল, বান্দরবান-চট্টগ্রাম যান চলাচল বন্ধ
বান্দরবান-কেরানীহাট-চট্টগ্রাম সড়কের সাতকানিয়ার বড়দুয়ারা অংশ আবারও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে। এর ফলে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রামের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, প্রতিবছরই পাহাড়ি ঢলে সড়কের এই অংশ তলিয়ে যায়। তাঁরা স্থায়ীভাবে এই জলাবদ্ধতা নিরসনে সেনাবাহিনীর ২০ নির্মাণ প্রকৌশল ব্যাটালিয়নের (২০ ইসিবি) দিকে তাকিয়ে আছেন। ২০ ইসিবি ২৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বান্দরবান-কেরানীহাট জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মানোন্নয়ন, প্রশস্ততা ও উচ্চতায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
বান্দরবানের বাস মালিক ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ বলেন, বর্ষা এলেই প্রতিবছর জেলা শহরের সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া যেন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। এতে মানুষের ভোগান্তি, ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে হয়।
বড়দুয়ারা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কটি প্রায় আধা কিলোমিটার পানিতে ডুবে আছে। দুপাশে ট্রাক, সিএনজি, মালবাহী কাভার্ড ভ্যানসহ যানবাহন আটকে রয়েছে। নৌকায় পারাপার হয়ে বান্দরবান ও চট্টগ্রামগামী লোকজন চলাচল করছেন। অনেকে চলছেন ভ্যান যোগে—যা প্রায় ডুবুডুবু অবস্থা। কাভার্ড ভ্যানের চালক আক্কাস আলী বলেছেন দুপুর থেকে পানি কমে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু বেলা তিনটায় পানি আরও বেড়েছে।
বান্দরবানের হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী মো. কায়সার বলেন, তিনি চট্টগ্রাম থেকে মালামাল নিয়ে এসেছেন। কিন্তু নিতে না পেরে মালামাল রেখে খালি হাতে নৌকায় পার হয়ে বান্দরবানে আসতে বাধ্য হয়েছেন। বান্দরবান-কেরানীহাট বাস পরিবহনের লাইনম্যান আবুল বশর বলেন, ওই স্থান দিয়ে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সব রকম যানবাহন বন্ধ রয়েছে।
পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঝন্টু দাশ বলেন, তাঁরা আশাবাদী ২০ ইসিবির সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জেলা সদরের সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগে আর কোনো সমস্যা থাকবেন না। এ জন্য তাঁরা চান প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন হোক।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সজীব আহম্মদ বলেন, আগে বিভিন্ন অংশে জলাবদ্ধ হলেও উঁচু করার কারণে বর্তমানে বড়দুয়ারায় দুটি ও দস্তিদারহাটে একটি অংশে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সওজের তৈরি করা এবং সেনাবাহিনীর বাস্তবায়নাধীন বান্দরবান-কেরানীহাট মহাসড়ক প্রকল্পে ১৮ ফুটের সড়ক ২৪ ফুট প্রশস্ত এবং নিচু অংশগুলো উঁচু করা হবে।
সেনাবাহিনীর ২০ ইসিবির কর্মকর্তারা জানান, বিলম্বে টাকা বরাদ্দ পাওয়ায় বর্ষায় নিচু অংশগুলোর কাজ করা যায়নি। বৃষ্টি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিচু অংশগুলো দ্রুত চিহ্নিত করে জরুরিভিত্তিতে কাজ করা হবে। যাতে আর কোনো ভোগান্তি না হয়।
আরও পড়ুন
-
ইরান-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে যে বদল এসেছে
-
আইসিইউর এসি নষ্ট, অস্ত্রোপচারও বন্ধ, কষ্টে রোগীরা
-
দিনাজপুরে ভোট গণনার পর দুই প্রার্থীর সমর্থকদের উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে নিহত ১
-
এবার ‘কিপটে’ মোস্তাফিজের ২ উইকেট, বড় জয়ে শীর্ষ তিনে ফিরল চেন্নাই
-
ঢাকাসহ ৫ জেলা: মাধ্যমিক সোমবার বন্ধ হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলাই থাকছে