Thank you for trying Sticky AMP!!

পোশাক কারখানায় আগুন, তল্লাশি চালিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি

নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকার জাহিন পোশাক কারখানায় গতকাল শুক্রবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে জাহিন নিটওয়্যার পোশাক কারখানার আগুনে পুড়ে যাওয়া চারটি ভবনে তল্লাশি চালিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। আজ শনিবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অগ্নিনির্বাপণ শেষে তল্লাশি চালিয়ে হতাহত কারও খবর জানাতে পারেননি।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে ওই কারখানার চারটি ভবনে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ১৩টি ইউনিট সাড়ে চার ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত সাড়ে নয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন প্রথম আলোকে বলেন, আগুন নেভানো শেষে কারখানার চারটি ভবনে তল্লাশি চালিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। কেউ নিখোঁজ আছেন, এমন কোনো অভিযোগও কেউ করেননি। আগুনে ওই কারখানার বিপুল পরিমাণ কাপড়সহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে। কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব হবে না। কারণ, আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একসঙ্গে চার ভবনে আগুন দেখতে পেয়েছেন। তদন্তের পর এ বিষয়ে বলা যাবে। আগুনে স্টিলের অবকাঠামোর ভবনগুলো বাঁকা হয়ে দুমড়েমুচড়ে গেছে।’

গতকাল রাত সাড়ে নয়টায় ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কারখানার ভেতরে প্রচুর পরিমাণে তৈরি পোশাক ও কাপড় ছিল। এ কারণে আগুন দ্রুত পাশের ভবনগুলোয় ছড়িয়ে পড়ে। কারখানার ভেতরে আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। কারখানার ভেতরে পানির ব্যবস্থা না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়। ছুটির দিন হলেও কারখানার ভেতরে বিল্ডিং কোড নীতিমালা অনুযায়ী ফায়ার ফাইটিং দল থাকার যে নিয়ম আছে, তা এখানে দেখা যায়নি।

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকায় অবস্থিত জাহিন নিটওয়্যারস লিমিটেড কারখানায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। ওই কারখানার ভেতরে ছয়টি ভবন। গতকাল কারখানাটি বন্ধ ছিল। তবে কিছু সেকশনে কাজ চলছিল। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কারখানার পূর্ব পাশে ৫ নম্বর ইউনিটে আগুনের সূত্রপাত। আগুন পরে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে।