Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, চার দিন পর হাসপাতালে ভর্তি

ধর্ষণ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের রহিমপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে ঘরে ঢুকে দরিদ্র পরিবারের এক প্রতিবন্ধী শিশুকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা ‘সামাজিক বিচারের’ নামে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছিলেন। তবে ভুক্তভোগী শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বুধবার বিকেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল ও সদর থানা সূত্রে জানা যায়, কমলগঞ্জের রহিমপুর ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী শিশুটির মা বাড়ি বাড়ি ঝিয়ের কাজ করেন। বাবা দিনমজুর। গত শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে তার মা বাড়ির বাইরে থাকার সুযোগে স্থানীয় এক যুবক ঘরে ঢুকে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। শিশুর মা বাড়িতে ফিরে এসে জানতে পারেন, তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে একটি মহল সামাজিকভাবে সমঝোতার কথা বলে সময়ক্ষেপণ করে। এদিকে শিশুর শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হলে বুধবার বিকেলে স্থানীয় লোকজনের চেষ্টায় শিশুটিকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে বর্তমানে মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক পার্থ সারথী দত্ত কানুনগো বলেন, শিশুটি চিকিৎসাধীন। একটি চিকিৎসা দল তার চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে।

ভুক্তভোগী শিশুটির মা বলেন, তিনি জানতে পেরেছেন, তাঁর অনুপস্থিতিতে শনিবার দুপুরে পাশের বাড়ির এক যুবক ঘরে ঢুকে শিশুটিকে ধর্ষণ করেছেন। এরপর ধর্ষণকারীর পক্ষ হয়ে স্থানীয় একটি মহল বিষয়টি কাউকে না জানাতে বলে সামাজিক বিচারের আশ্বাস দিয়েছিল। ফলে চার দিন সময় নষ্ট হয়েছে। শিশুটির দিনমজুর বাবা বলেন, তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান।

রহিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমদ বলেন, লোকমুখে শুনে তিনি আজ বৃহস্পতিবার শিশুটির বাড়িতে গিয়ে জানতে পারেন সে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিষয়টি স্পর্শকাতর বলে মেডিকেল রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তিনিও এ ঘটনার সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, লোকমুখে শুনেছেন, এক প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি। তারপরও পুলিশ খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখছে।