Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রথম আধুনিক ভাস্কর

নভেরা আহমেদ

চূড়া করে বাঁধা খোঁপা, কাজল কালো চোখ, কপালে টিপ, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, নভেরা আহমেদের এই ছবির সঙ্গে একালের পাঠক-শিল্পবোদ্ধা অনেকেরই পরিচয় আছে। কিন্তু পঞ্চাশের দশকে এ দেশের শিল্পাঙ্গন তোলপাড় করা নভেরা একসময় বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে গিয়েছিলেন। নব্বইয়ের দশকে ভাস্কর লালা রুখ সেলিম ও শিল্প-সমালোচক মেহবুব আহমেদের মূল্যায়নধর্মী প্রবন্ধ এবং কথাসাহিত্যিক হাসনাত আবদুল হাইয়ের উপন্যাস ‘নভেরা’র মধ্য দিয়ে এই ছবি আবারও উঠে আসে সবার সামনে। আর এরপরই সাম্প্রতিক সময়ে নভেরা হয়ে ওঠেন সবচেয়ে আলোচিত এক চরিত্র। তাঁকে নিয়ে এরপর প্রবন্ধ, নিবন্ধ, গবেষণাকর্ম, এমনকি স্মৃতিকথাও লেখা হতে থাকে। বিস্মৃতির অতল থেকে উঠে আসে বাংলাদেশের প্রথম আধুনিক ভাস্করের সৃষ্টিসম্ভার।

হাসনাত আবদুল হাই তাঁর এক সাক্ষাৎকারে নভেরার বিষয়ে বলেছিলেন, তাঁর সমগ্র জীবন যথার্থই এক উপন্যাসের মতো। অনেক শিল্পবোদ্ধার মতে, নভেরা বেঁচে থাকতেই তাঁর রহস্যময় বিচ্ছিন্নতা আর সংগোপন জীবনযাপনের কারণে একরকম মিথেই পরিণত হয়েছিলেন। তবে তাঁর স্বেচ্ছানির্বাসিত জীবনের নানান কাহিনি বাদ দিলেও শিল্পের ইতিহাসে নভেরা বিশিষ্ট হয়ে থাকবেন তাঁর সৃষ্টিকর্মের কারণে।

চট্টগ্রামের বাঁশখালির কালীপুর গ্রামে নভেরার পৈতৃক বাড়ি। তাঁর বাবা, এক্সাইজ ডিপার্টমেন্টের সুপারিনটেন্ডেন্ট সৈয়দ আহমেদ, চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর সপরিবারে চট্টগ্রাম শহরে আশকার দিঘির পাড়ে নিজেদের বাড়িতে থাকতেন। আনুমানিক ১৯৩০ সালে নভেরার জন্ম। ধারণা করা হয়, পৈতৃক নিবাস চট্টগ্রামে খুব একটা থাকার সুযোগ হয়নি তাঁর। বাবার কর্মসূত্রে কলকাতায় শৈশব কেটেছে তাঁর। এবং সম্ভবত সেখানেই জন্ম। ১৯৪৭ সালের দেশবিভাগের পর পাড়ি জমান বাবার নতুন কর্মস্থল কুমিল্লায়। সেখান থেকে বিভিন্ন সময় চট্টগ্রামে এলেও সেখানে তিনি স্থায়ীভাবে থাকেননি। ১৯৫০ সালে পরিবার তাঁকে যুক্তরাজ্যে পড়তে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে তিনি তৎকালীন সমাজের ও পরিবারের আশা-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আইনে ভর্তি না হয়ে চারুকলায় পড়ার ব্যাপারে মনস্থির করেন। ভর্তি হন লন্ডনের ক্যাম্বারওয়েল স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটসের ভাস্কর্য বিভাগে, ‘ন্যাশনাল ডিপ্লোমা ইন ডিজাইন’ কোর্সে। ৪ বছরের এই কোর্স শেষে ১৯৫৫ সালে ডিপ্লোমা ডিগ্রি পান নভেরা। সেখানে শিক্ষক হিসেবে পান বিখ্যাত চেক ভাস্কর ড. কারেল ফোগেলকে।

নভেরার ভাস্কর্য নিয়ে পড়াশোনার ইচ্ছাটা হঠাৎ করে হয়নি। যাঁরা তাঁর সম্পর্কে জানতেন না, তাঁরা তখন হয়তো অবাকই হয়েছিলেন। কিন্তু এই আগ্রহের বীজ নভেরার মধ্যে রোপণ করেছিলেন তাঁর মা গুলশান আরা। নভেরা ছোটবেলায় মাকে দেখেছেন, মাটির ডেলা ও অন্যান্য আটপৌরে উপকরণ দিয়ে পুতুল আর পুতুলের ঘর বানাতে। পুতুলের ঘর বানানোর এই দৃশ্য পরবর্তীকালে নভেরার মনে এতটা স্থায়ী হয়ে যাবে, তা হয়তো ভাবতে পারেননি গুলশান আরা। আর আজ সম্ভবত এ কথা বলাই যায়, ত্রিমাত্রিক বস্তু প্রতিরূপ অর্থাৎ ভাস্কর্যের প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ ওই মাটির পুতুলের হাত ধরেই এসেছে।

শিল্পের স্বরূপের সন্ধান

নভেরার ভাস্কর্য: এক্সটারমেনিটিং এঞ্জেল, ১৯৬১

লন্ডনে শিল্পশিক্ষা আর পরে ইতালি ও প্যারিসের অভিজ্ঞতা নভেরাকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছিল। সমকালীন ইউরোপীয় শিল্পকলার পাশাপাশি তিনি পরিচিত হয়েছিলেন প্রাক-রেনেসাঁস ও রেনেসাঁসের শিল্প-ঐতিহ্যের সঙ্গে। নিজের শিক্ষক ভাস্কর কারেল ফোগেল আর বিখ্যাত ইতালীয় ভাস্কর ভেন্তুরিনো ভেন্তুরি তাঁকে নতুন এক শিল্পবিশ্বের সঙ্গে পরিচিত করান। লন্ডনে পড়তে এসে বাংলাদেশের আরেক তরুণ শিল্পী হামিদুর রাহমানের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। তিনি পড়তেন লন্ডনের সেন্ট্রাল স্কুল অব আর্টে। হামিদুরের সঙ্গে নভেরার বন্ধুত্বের পর দুজন একসঙ্গে ইতালিতে যান সমকালীন শিল্পকে আরও নিবিড়ভাবে বোঝার আশায়। সেখানে আরেক বাংলাদেশি শিল্পী আমিনুল ইসলামের সঙ্গে ১৯৫৪ সালে নভেরার ইতালি অভিযান শুরু হয়। এরপর ওই বছরই তিনি বিখ্যাত ফরাসি ভাস্কর রোদ্যাঁর ভাস্কর্য দেখতে ফ্রান্সে যান। জীবনের সংক্ষিপ্ত এই অধ্যায় নভেরাকে আমূল বদলে দিয়েছিল। তিনি তখন রীতিমতো টগবগ করে ফুটছিলেন সৃষ্টির নেশায়। এরপরের কয়েক বছরে তিনি নির্মাণ করেন শতাধিক ভাস্কর্য।

নতুন ঢেউ

১৯৫৬ সালে নভেরা আহমেদ ঢাকায় ফিরে আসেন। তখন পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কোথাও কোনো আধুনিক ভাস্কর্য ছিল না। ১৯৫৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান কেন্দ্রীয় গণ গ্রন্থাগারের (এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার) ভেতরের দেওয়ালে নভেরা তৈরি করেন বিশাল এক ফ্রিজ বা রিলিফ ভাস্কর্য। কৃষক, গরু, হাতি আর নানান মোটিফে সজ্জিত ওই রিলিফে উঠে আসে গ্রামবাংলার পল্লিজীবন। ইউরোপীয় ভাস্কর্য শিক্ষায় দীক্ষিত নভেরা এভাবেই তাঁর প্রথম করা সৃষ্টিকর্মের মধ্য দিয়ে পূর্ব ও পশ্চিমের মেলবন্ধন ঘটান। তাঁর পরবর্তী জীবনেও এই রীতির মিলন দেখতে পাই আমরা। নভেরার পরবর্তী কাজটি ছিল এককথায় বিস্ময়কর। পূর্ব বাংলার প্রথম মুক্তাঙ্গন ভাস্কর্য। ‘দ্য কাউ অ্যান্ড টু ফিগার্স’ নামের এই ভাস্কর্য ১৯৫৮ সালে স্থাপন করা হয়েছিল ঢাকার ব্যবসায়ী এম আর খানের বাড়ির বাগানে। এই ভাস্কর্যে গরু আর মানুষ মিলেমিশে গেছে। আর ভাস্কর্যের একাংশ উন্মোচিত হয়ে মিশে গেছে প্রকৃতির সঙ্গে। কাজ দুটো দেখে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন বলেছিলেন, ১৯৫৭ সালে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের দেওয়ালে উদ্ভাসিত ফ্রিজ ও ১৯৫৮ সালে খোলা আকাশের নিচে ভাস্কর্য—পূর্ব পাকিস্তানের শিল্পাঙ্গনে নভেরা আহমেদের এই দুই শিল্পকর্মকে ছোটখাটো একটা বিপ্লবই বলা যায়।

১৯৬০ সালের আগস্ট মাসে ‘ইনার গেজ’ নামে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় নভেরার প্রথম ভাস্কর্য প্রদর্শনী। ১৯৫৬ থেকে ১৯৬০ সাল অবধি নভেরার করা প্রায় ৭৫টি ভাস্কর্য স্থান পেয়েছিল ওই প্রদর্শনীতে। তৎকালীন পাকিস্তান আর্ট কাউন্সিল লাহোর শাখার সেক্রেটারি কবি ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, সাংবাদিক এস এম আলী, আবদুস সালাম প্রমুখ লিখেছিলেন ওই প্রদর্শনীর ক্যাটালগে। কেবল ঢাকা বা পূর্ববঙ্গ নয়, তৎকালীন সমগ্র পাকিস্তানের প্রথম ভাস্কর্য প্রদর্শনী ছিল সেটি। এ দেশের লোকজ আঙ্গিক আর পাশ্চাত্য রীতির মেলবন্ধনে এক অপূর্ব প্রদর্শনী। তাঁর ভাস্কর্যে বৌদ্ধ দর্শন আর নারী বিশেষভাবে উঠে এল। ভারতীয় বা ইউরোপীয় শিল্প আঙ্গিকে নারীর নারীত্ব বা কামনাময়ী রূপ দেখা গেলেও নভেরা তাকে সেভাবে উপস্থাপন করেননি। তাঁর ভাস্কর্যে নারীর অন্তর্গত মনের ছবিটাই যেন উঠে এসেছে। পরের বছর পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী ১৯৬১-তে অংশ নিয়ে ভাস্কর্য মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পান নভেরা।

১৯৫৮ সালে নভেরার প্রথম ভাস্কর্য কাউ উইথ টু ফিগারস। শুরুতে ঢাকার ব্যবসায়ী এম অার খানের বাগানে স্থাপন করা হলেও বর্তমানে এটি জাতীয় জাদুঘরে রক্ষিত আছে

ঢাকায় প্রথম উচ্চতর চারুকলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউট অব আর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। ১৯৬৩ সালে পূর্ণাঙ্গ আর্ট কলেজে রূপান্তরিত হওয়ার পর ভাস্কর্য বিভাগ চালু হয় সেখানে। কেবল ঢাকা নয়, গোটা পাকিস্তানেই নভেরা ছিলেন একজন পথিকৃৎ আধুনিক ভাস্কর। ঢাকায় আনুষ্ঠানিক ভাস্কর্যশিক্ষা শুরুর আগে ‘ইনার গেজ’ প্রদর্শনীর মাধ্যমে নভেরাই প্রথম আধুনিক ভাস্কর্যচর্চার সূচনা করেছিলেন।

১৯৫৬ সালে নভেরা হামিদুর রহমানের সঙ্গে মিলে বায়ান্নর ভাষা শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে শহীদ মিনার কমপ্লেক্সের নকশা করেছিলেন। পরে সেই নকশায় তৈরি হয় শহীদ মিনার।

১৯৬৩ সালে স্বদেশ ছেড়ে পাকাপাকিভাবে প্যারিসে চলে গিয়েছিলেন নভেরা। আর কখনো দেশে ফেরেননি তিনি। যোগাযোগও করেননি দেশের কারও সঙ্গে। এমনকি বাংলাদেশ সরকার তাঁকে একুশে পদক দিলে সেটাও নিতে আসেননি। নভেরা এ দেশের দৃশ্যপট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেও শিল্পের নতুন এক পটভূমি রেখে গিয়েছিলেন।

নভেরার শিল্পবিশ্ব

বলা হয়ে থাকে, ভাস্কর হেনরি মুর আর বারবারা হেপওয়ার্থের শিল্পকর্মের প্রভাব ছিল নভেরার কাজে। বিশেষত ব্রিটিশ ভাস্কর হেনরি মুর তখন ভীষণ আলোচিত এবং আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত। সে সময়ের কোনো নবীন ভাস্কর্যশিল্পীর পক্ষে তাঁর প্রভাব এড়ানো প্রায় অসম্ভব ছিল। হেনরি মুরের বৈশিষ্ট্য অর্ধবিমূর্ত আর শায়িত ভঙ্গি নভেরার কাজেও আমরা দেখতে পাই। তবে তিনি নিছক অনুকরণ করেননি। হেনরি মুরের শিল্পশৈলীর সঙ্গে তাঁর নিজস্ব একটা বোঝাপড়া সব সময়ই ছিল। এ কারণে নিজের স্বতন্ত্র শিল্পভাষাও তিনি শিল্পীজীবনের শুরুতেই খুঁজে পেয়েছিলেন।

১৯৭০ সালের অক্টোবর মাসে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে নভেরার দ্বিতীয় ভাস্কর্য প্রদর্শনীতে তাঁর নিজস্ব শিল্পভাবনার পরিচয় পেল বিশ্ব। দেখিয়ে দিলেন হেনরি মুর বা বারবারা হেপওয়ার্থ থেকে কোথায় ভিন্ন তিনি! আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ আয়োজিত ওই প্রদর্শনীতে লাওসে বিধ্বস্ত মার্কিন যুদ্ধবিমানের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করেছিলেন তিনি। এ সকল অ্যাসেমব্লেজে যুদ্ধের উন্মাদনা আর যান্ত্রিক বিশ্বের প্রতিরূপ যেন উঠিয়ে এনেছিলেন তিনি।

১৯৭৩ সালের জুলাই মাসে প্যারিসের নামকরা চিত্রশালা ‘গ্যালারি রিভ গোশ’-এ নভেরার তৃতীয় শিল্প প্রদর্শনীতেও যুদ্ধবিরোধিতার রেশ রয়ে গেল। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধের ভয়াবহতাকে প্রধান বিষয় করেছিলেন তিনি। বলা যায়, সচল-সক্রিয় নভেরার এটিই ছিল শেষ একক প্রদর্শনী। জীবনের শেষ কয়েক বছর নভেরা নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন চার দেওয়ালের ভেতর। রুশ বংশোদ্ভূত ফরাসি স্বামী গ্রেগোয়ার দ্য ব্রুনসই ছিলেন বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের সেতু। ২০১৫ সালের ৫ মে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নভেরা নিভৃতবাসে ছিলেন।

নীরব নভেরা

নভেরা কেন নীরব হয়ে গেলেন, এর কারণ হিসেবে একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন সমালোচকেরা। ১৯৭৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর এক সড়ক দুর্ঘটনা তাঁর জীবনকে থমকে দিয়েছিল। ওই দুর্ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন। দীর্ঘ বিরতির পর নভেরা শিল্পচর্চায় ফিরে আসেন ১৯৮৪ সালে। ২০০৫ সালে স্থায়ীভাবে প্যারিস ছেড়ে শঁতমেলের স্টুডিও-সংলগ্ন নিরিবিলি বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। এরপর ২০১০ সালে স্ট্রোক হলে তিনি আরও নিশ্চল হয়ে পড়েছিলেন। তবে নিভৃতবাসে গেলেও নভেরার সৃজনশীলতা থেমে যায়নি। শারীরিক কারণে এ পর্যায়ে খুব বেশি ভাস্কর্য গড়তে না পারলেও অজস্র ছবি এঁকেছিলেন তিনি।

১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার নভেরাকে একুশে পদক দেয়। এরপরের বছর ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে থাকা নভেরার শিল্পকর্মগুলো নিয়ে জাতীয় জাদুঘর এক প্রদর্শনীর আয়োজন করে। ২০১৪ সালে প্যারিসে তাঁর প্রবাস জীবনের উল্লেখযোগ্য কাজ নিয়ে আয়োজিত হয় নভেরা রেট্রোস্পেকটিভ। ২০১৮ সালে ফ্রান্সের লা রোশ-গুঁইয়ো এলাকায় ‘নভেরা আহমেদ মিউজিয়াম’ নামের একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৭৩ সালের সড়ক দুর্ঘটনার পর ৪২ বছর একরকম লোকচক্ষুর আড়ালেই জীবন কাটিয়েছেন নভেরা। জীবনের শেষ পর্বে নিজে নীরব হয়ে গেলেও নভেরা এখন শিল্পানুরাগীদের কাছে অনেক বেশি বাঙ্ময় আর সরব।

আহমেদ মুনির: কবি ও জে্যষ্ঠ সহসম্পাদক, প্রথম আলো, চট্টগ্রাম অফিস