Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর স্থাপন জুনে

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভ্যাসেল

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর স্থাপনের কাজ আগামী জুন মাসে শুরু হবে। ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ এ যন্ত্রটি প্রকল্প এলাকায় এসে পৌঁছেছে। ইউনিটের বাকি যন্ত্রগুলো প্রকল্প এলাকার উদ্দেশে সমুদ্রপথে রয়েছে।

অন্যদিকে দ্বিতীয় ইউনিটের জন্য রিঅ্যাক্টর ও স্টিম জেনারেটর তৈরি করে পাঠিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় করপোরেশন রোসাটমের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী শাখা। রোসাটমের বাংলাদেশে নিযুক্ত কর্মকর্তারা ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শৌকত আকবর প্রথম আলোকে বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে রিঅ্যাক্টর স্থাপনই মূল কাজ। বর্তমানে প্রথম ইউনিটের যন্ত্রাংশ সংযোজনের কাজ চলছে। যন্ত্রাংশ সংযোজন শেষ হলে আগামী জুন মাসে রিঅ্যাক্টর স্থাপনের কাজ শুরু হবে।

প্রকল্পের জন্য যন্ত্রপাতি প্রস্তুত করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় করপোরেশন রোসাটমের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী শাখা ও রাশিয়ান প্রকৌশল ইউনিয়নের আঞ্চলিক শাখা জেএসসি।
রোসাটমের বাংলাদেশে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেএসসি প্রকল্পের দুটি ইউনিটের জন্য ৫০ ধরনের যন্ত্রপাতি প্রস্তুত করবে। এর মধ্যে চুল্লিপাত্র, স্টিম জেনারেটর যন্ত্রাংশ, প্রধান সঞ্চালন পাইপলাইন, প্রধান সঞ্চালন পাম্প, চাপ কমানোর যন্ত্র, জরুরি শীতলীকরণ ব্যবস্থা, নিষ্ক্রীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা, টারবাইন হলের জন্য উচ্চচাপ তৈরির হিটার, ভ্যাকিউম, কনডেনসেট, ফিড পাম্প ও টারবাইন ইউটিট পুনরায় গরম করার যন্ত্র উল্লেখযোগ্য।

যন্ত্রগুলোর মধ্যে প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর ও চারটি স্টিম জেনারেটর গত অক্টোবর মাসে প্রকল্প এলাকায় এসে পৌঁছেছে। বাকি যন্ত্রগুলো বিশেষ কার্গো জাহাজে কৃষ্ণসাগর ও সুয়েজ ক্যানেল হয়ে রূপপুর প্রকল্পের পথে রয়েছে। বাংলাদেশের মোংলা বন্দরে থেকে নদীপথেই যন্ত্রগুলো রূপপুরে আনা হবে।

২০ এপ্রিল রোসাটম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রথম ইউনিটের যন্ত্রপাতি প্রস্তুত শেষে দ্বিতীয় ইউনিটের যন্ত্রপাতি প্রস্তুত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় ইউনিটের জন্য ৩২০ টন ওজনের রিঅ্যাক্টর এবং ৩৪০ টন ওজনের দুটি স্টিম জেনারেট প্রকল্পের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে। আগামী জুন মাসে ভারী এই যন্ত্র দুটি দেশে এসে পৌঁছাবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রকল্পের পরিচালক শৌকত আকবর প্রথম আলোকে বলেন, ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। করোনা ঝুঁকি থাকলেও প্রতিটি কাজ শিডিউল অনুযায়ী নিয়মমাফিক করা হচ্ছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়েই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

প্রসঙ্গত, প্রকল্পের নকশা ও বাস্তবায়ন হচ্ছে রাশিয়ান পরিকল্পনা অনুযায়ী। নকশা ও বাস্তবায়ন করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় করপোরেশন রোসাটমের প্রকৌশল বিভাগ। প্রকল্পে ২টি ইউনিটে ভিভিইআর রিঅ্যাক্টর থাকবে। প্রতিটি ইউনিটে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। দুই ইউনিট মিলে মোট উৎপাদন হবে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট যথাক্রমে ২০২৩ ও ২০২৪ সাল থেকে কার্যকর হবে।