Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রশাসনের আশ্বাসে হবিগঞ্জে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধের দাবিতে আজ রোববার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু করেছিল হবিগঞ্জ জেলা বাস মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে বেলা দুইটায় তারা এ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়।

জেলা বাস মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা থেকে সিলেট পর্যন্ত মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিল বাস মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ। এ দাবিতে গত ২০ অক্টোবর হবিগঞ্জ-সিলেটসহ নয়টি রুটে ধর্মঘট পালন করা হয়। ১৮ নভেম্বর হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে ২৮ নভেম্বরের মধ্যে অটোরিকশা বন্ধের আল্টিমেটাম ঘোষণা করা হয়। এ সময়সীমা শেষ হওয়ার পর আজ রোববার সকাল থেকে হবিগঞ্জ-সিলেট, হবিগঞ্জ-সিলেট (ভায়া মৌলভীবাজার), হবিগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জ-মাধবপুর, হবিগঞ্জ-চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ লাখাই, হবিগঞ্জ-বানিয়াচং, হবিগঞ্জ-নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ-বাহুবল-আউশকান্দি রুটসহ নয়টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় জেলা বাস মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ।

রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলা বাস মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ তাদের পরিবহনগুলো বন্ধ রেখে গাড়ির চাবি জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করতে যায়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান তৎক্ষণাৎ জেলা বাস মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমরা বারবার দাবি জানিয়ে আসা সত্ত্বেও প্রশাসন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।’ এ সময় জেলা প্রশাসক তাঁদের আশ্বস্ত করে জানান, শিগগিরই মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করা হবে। তিনি আগামী ১০ দিনের মধ্য দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখানোর আশ্বাস দেন। প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠকের পর জেলা বাস মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ বেলা দুইটার দিকে তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়।

বৈঠকে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. ফজলুর রহমান চৌধুরী, কার্যকরী সভাপতি মো. শামছু মিয়া চৌধুরী, জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক সজিব আলী, সহসভাপতি জিতু মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

হবিগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায় প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন। প্রশাসন কথা দিয়েও কথা রাখেনি। যে কারণে তাঁরা রোববার থেকে আবারও অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। প্রশাসনের আশ্বাসে বেলা দুইটা থেকে এ ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।