Thank you for trying Sticky AMP!!

ফরিদপুরে এক দিনে ২০ পুলিশ, ৩ চিকিৎসকের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

ফরিদপুরে নতুন করে ২০ পুলিশ সদস্য, ৩ জন চিকিৎসকসহ আরও ১১৪ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ ল্যাব থেকে আজ শনিবার রাতে এ তথ্য জানা গেছে।

এ নিয়ে ফরিদপুর জেলায় করোনাভাইরাস শনাক্ত ব্যক্তির মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ হাজার ৩৬৮।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান।

সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, আজ পিসিআর ল্যাবে মোট ৩৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত হয়নি ২১৩ জনের। অকার্যকর হয়েছে ১১টি। পরীক্ষার হিসাবে শনাক্ত ব্যক্তির অনুপাত ৪১ দশমিক ৬৪ শতাংশ ।

নতুন শনাক্ত ব্যক্তির মধ্যে ফরিদপুরের একটি ফলোআপসহ মোট ১১৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নতুন শনাক্ত হয়েছে ১১৪ জনের। এ ছাড়া গোপালগঞ্জে ফলোআপসহ ৩৪ জন, মাদারীপুরে ২ জন ও নড়াইলের ১ জন রয়েছেন।

ফরিদপুরে নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩ জন চিকিৎসক এবং ফরিদপুর পুলিশ লাইনস ও হাইওয়ে পুলিশের মোট ২০ জন সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া নগরকান্দা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন, নয়জন স্বাস্থ্যকর্মী, কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা ও পল্লী বিদ্যুতের দুজন সদস্য রয়েছেন।

ফরিদপুরের নতুন শনাক্ত ব্যক্তির মধ্যে ফরিদপুর সদরে ৬৯ জন, বোয়ালমারীতে ১২ জন, নগরকান্দা ও সদরপুরে ৭ জন করে, চরভদ্রাসনে ৬ জন, আলফাডাঙ্গায় ৫ জন, মধুখালী ও ভাঙ্গায় ৩ জন করে এবং সালথায় ২ জন রয়েছেন।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, ফরিদপুরে সার্বিক করোনা–পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। প্রতিদিনই শতাধিক ব্যক্তির করোনাভাইরাস শনাক্ত হচ্ছে। পুলিশের উল্লেখযোগ্য একটি অংশের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফরিদপুরে যেসব পুলিশ সদস্যের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তাঁরা ঢাকা, পুলিশ হাসপাতাল এবং নিজ বাড়ি ও ব্যারাকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি জানান, সচেতনতা না বাড়লে এ অবস্থার উন্নতি হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, আজ শনাক্ত ব্যক্তির হার অনেক বেশি। শনাক্ত ব্যক্তির হার ৪১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্ত ব্যক্তির হার দিনে দিনে বাড়ছে। তবে আশার কথা, আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফরিদপুরে মোট ৫৮৪ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্তের বিপরীতে সুস্থ হয়েছে ২৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।