Thank you for trying Sticky AMP!!

ফরিদপুরে দুই উপজেলার নিম্নাঞ্চল আবার প্লাবিত

পদ্মায় পানি বাড়ছে। ডুবে যাওয়ার শঙ্কায় আগেই পাট কেটে ফেলছেন কৃষক। গতকাল বেলা দেড়টার দিকে ফরিদপুর সদরের সাদীপুর এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো

প্রথম দফার ধকল কাটাতে না কাটাতে দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে ফরিদপুরে। ফরিদপুরে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল সোমবার সকাল ছয়টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি আরও ২৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে। বর্তমানে ওই পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পদ্মা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ফরিদপুর সদর ও চরভদ্রাসন উপজেলার নিম্নাঞ্চল আবার প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ওই দুই উপজেলার আটটি ইউনিয়নের ২৬ গ্রামের অন্তত ১০ হাজার পরিবার।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফরিদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, পদ্মা নদীর পানি এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো বিপৎসীমা অতিক্রম করল। আরও কয়েক দিন পানি বাড়ার এ প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।

ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান জানান, কাইমুদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী থেকে বাঘের টিলাগামী সড়কের এক কিলোমিটার ডুবে গেছে। এ ছাড়া বরেন বিশ্বাসের ডাঙ্গী এলাকার নতুন করা একটি পাকা সড়ক নতুন করে তলিয়ে গেছে। তাঁর ইউনিয়নে চার হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

চরভদ্রাসন সদর ইউপির চেয়ারম্যান আজাদ খান জানান, বন্যার পানি বাড়ছে। নিম্নাঞ্চলে বসবাসরত পরিবারগুলো আবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

ফরিদপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা সুরজুল আমিন জানান, গতকাল বেলা তিনটা থেকে আজ বেলা তিনটা পর্যন্ত ফরিদপুরে ৪ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, দুর্গত এলাকার লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ব্যবহারে আগ্রহী নন।’