Thank you for trying Sticky AMP!!

ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল দেখতে মানুষের ভিড়

করোনার সংক্রমণের মধ্যেই আয়োজন করা ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা দেখতে ভিড় করেছেন হাজারো মানুষ। আজ বিকেলে নবীগঞ্জের বড় ভাকৈর পূর্ব ইউ‌নিয়নে হ‌লিমপুর মাঠে। ছবি: প্রথম আলো

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে আয়োজন করা হয়েছিল ফুটবল টুর্নামেন্ট। ১৬ দলের অংশগ্রহণে প্রায় অর্ধমাস ধরে চলা টুর্নামেন্টের ফাইনাল ছিল আজ শুক্রবার। এই খেলা দেখতে ভিড় করেছিল আশপাশের হাজারো মানুষ। তবে শেষ পর্যন্ত খেলা হলেও পুরস্কার বিতরণের আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় আয়োজন।

আজ বিকেলে নবীঞ্জের বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়নের হলিমপুর মাঠে এ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। ‘সোনার নৌকা ও সোনার বৈঠা’ পুরস্কারের এ টুর্নামেন্টের আয়োজক ছিলেন বড় ভাকৈর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. মেহের আলী মালদার। ফাইনাল শেষে বিজয়ী দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার কথা ছিল মেহের আলীর। যদিও তিনি টুর্নামেন্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিল স্থানীয় কিছু বাচ্চা। আমি খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে খেলা বন্ধ করে দিয়েছি।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের ইউপি সদস্য কাজল মিয়া, ফারুক আহমদ, আরেক ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন মিলে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন। এতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মেহের আলী পৃষ্ঠপোষকতা করেন। টুর্নামেন্টে রামপুর গ্রামের ১৬ দল অংশ নেয়। আজ বিকেলে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা হয়। এ সময় খেলা দেখতে মাঠের চারপাশে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। করোনা প্রতিরোধে জনসমাগম এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে বলা হলেও খেলা দেখতে আসা দর্শকদের বেশির ভাগের মুখে মাস্কও ছিল না।

বড় ভাকৈর ইউপির চেয়ারম্যান মো. আশিক মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, রামপুর গ্রামের দুজন ইউপি সদস্যকে নিষেধ করা হয়েছিল টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে। তারপরও তাঁরা টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছেন। তবে ইউপি সদস্য কাজল মিয়া বলেন, ‘টুর্নামেন্ট আয়োজনের সঙ্গে আমি জড়িত নই। টুর্নামেন্ট স্থানীয় কিছু বাচ্চা আয়োজন করেছে।’

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিশ্বজিত কুমার পাল প্রথম আলোকে বলেন, কোনো অনুমতি না নিয়ে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। স্থানীয় মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এ ছাড়া এমন পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্ট আয়োজকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, করোনার মধ্যে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।