Thank you for trying Sticky AMP!!

বগুড়ার শেরপুরে চামড়ার ক্রেতা নেই, হতাশ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

বগুড়ার শেরপুরে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অস্থায়ী কোরবানি পশুর চামড়ার বাজারে চামড়া কেনাবেচা নিয়ে হতাশ মৌসুমি বিক্রেতারা। আজ শনিবার বিকেলে তোলা। ছবি: প্রথম আলো

বগুড়ার শেরপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অস্থায়ী পশুর চামড়া বাজার। ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পরপরই এখানে চামড়া বিক্রি করতে আসেন মোজাম্মেল হোসেন। উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম থেকে ষাঁড় ও ছাগলের ৯৬টি চামড়া সংগ্রহ করে দুপুরে এই অস্থায়ী বাজারে আনেন। বেলা তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত ঘুরেও চামড়া বিক্রি করতে পারেননি। তাঁর চাহিদামতো কেউ দামও বলেননি।

উপজেলার ধড়মোকাম গ্রামের বাসিন্দা আবদুস সামাদ। তিনিও অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে চামড়া বিক্রি করতে পারছিলেন না। বললেন, গ্রামে ঘুরে ঘুরে তিনি ২০টি ছাগলের চামড়া কিনেছেন। বাজারে আনার পর কেউ এ চামড়ার দাম পর্যন্ত বলেননি। তিনি চামড়াটি নিয়ে অন্তত দেড় ঘণ্টা ধরে বাজারে অপেক্ষা করছেন।

শনিবার বেলা দুইটা থেকে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার অস্থায়ী বাজারে বিক্রির জন্য এসব চামড়া তোলা হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, এই বাজারে অন্তত ১০ জন মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী বিক্রির জন্য চামড়া এনেছেন। তিনজন বলেন, গ্রামে গ্রামে ঘুরে ২৮-৩০ বর্গফুটের চামড়া তাঁরা কিনেছেন ৮০০-৯০০ টাকায়। বাজারে তোলার পর সেই চামড়ার দাম উঠছে মাত্র ৪০০ টাকা। একইভাবে ছাগলের চামড়া প্রতিটি গড়ে ২০ টাকা করে কেনা পড়লেও দাম বলছে ১৫ টাকা করে।

বগুড়ার শেরপুরে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অস্থায়ী কোরবানি পশুর চামড়ার বাজারে চামড়া কেনাবেচা নিয়ে হতাশ মৌসুমি বিক্রেতারা। আজ শনিবার বিকেলে তোলা। ছবি: প্রথম আলো

বাজারে কথা হয় স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ী উপেন রবিদাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, শেরপুরে এ বছর তিনিসহ আটজন চামড়া কিনছেন। বেশির ভাগ ব্যবসায়ী গত বছর কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির পর আজও পুরো টাকা পাননি। তাই এ বছর চামড়া কেনার জন্য অর্থের সংকট রয়েছে। এ ছাড়া সরকারের বেঁধে দেওয়া চামড়ার দামের অতিরিক্ত দামে তাঁরা কেউ চামড়া সংগ্রহ করছেন না। তবে কিছু পশুর চামড়া মানসম্পন্ন ও উন্নত। সেই চামড়াগুলো বেঁধে দেওয়া দামের চাইতে বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। এমন পশুর চামড়া বাজারে উঠেছে খুবই কম।

স্থানীয় মৌসুমি পশুর চামড়া বিক্রেতা হাফিজুর রহমান বলেন, এ বছর স্থানীয় বাজারে পশুর চামড়ার দাম খুব কম। গত বছরের তুলনায় দাম এ বছর অর্ধেক। এ বছর অনেক মৌসুমি বিক্রেতা তাঁদের পুঁজি হারাবেন।