Thank you for trying Sticky AMP!!

ভেঙে যাওয়া সেতুর চিহ্ন নেই। সাঁকো তৈরি করে চলাচল করেন স্থানীয়রা। গতকাল আদিতমারীর পাঠানঝাড় গ্রামে

বন্যায় ভেঙে যাওয়া সেতুটি আর নির্মাণ করা হয়নি

২০১৭ সালের বন্যার পানির স্রোতে ভেঙে যায় লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের পাঠান ঝাড় গ্রামের অঙের ভাসা খালের সেতুটি। বর্তমানে সেখানে সেতুর কোনো চিহ্ন নেই। পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে স্থানীয় মানুষকে।

সেতুটি নির্মাণ করা হয় ১৯৯১ সালে। চার বছর আগে ভেঙে গেলেও সেখানে নতুন করে আর সেতু নির্মাণ করা হয়নি। বরাদ্দ এলেও তা অন্য কাজে ব্যয় করা হয়। বর্তমানে বাঁশের সাঁকোটি পাঠান ঝাড়সহ আশপাশের গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষের চলাচলের ভরসা। যানবাহন নিয়ে চলতে হলে সাঁকো এড়িয়ে দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার পথ ঘুরে উপজেলা ও জেলা শহরে পৌঁছাতে হয় তাদের।

ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে সেতুটি নির্মাণের জন্য ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। কিন্তু পানির গভীরতা বেশি থাকায় নির্মাণকাজ শুরু করা যায়নি। পরে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সে অর্থ দিয়ে ইউনিয়নের অন্য একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়। এরপর আর সেতুটি নির্মাণের বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।

আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মফিজুল ইসলাম বলেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি গার্ডার সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।