Thank you for trying Sticky AMP!!

বরগুনার আদালতপাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের রায় ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিচারের রায় আজ মঙ্গলবার কিছুক্ষণের মধ্যে ঘোষণা করা হবে। জেলা শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এই রায় ঘোষণা করবেন বলে  কথা রয়েছে। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে  বরগুনা জেলা জজ আদালত ও আশপাশের এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
রায়কে ঘিরে সোমবার রাত থেকে বরগুনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সজাগ দৃষ্টি রাখছে পুলিশ। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশের নিরাপত্তাচৌকি বসানো হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) টহল জোরদার করা হয়েছে।

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের আজ রায় ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বসানো হয়েছে তল্লাশিচৌকি

সকালে আদালত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার চারটি স্থানে পুলিশের তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। স্থানগুলো হলো বরগুনা মহিলা কলেজ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, হাসপাতাল সড়ক, সার্কিট হাউস সড়ক। এ ছাড়া আদালত ভবনের ফটকে বিচারপ্রার্থীদেরও তল্লাশি করে ভেতরে ঢোকানো হচ্ছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) মহরম আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‌‘রায় ঘিরে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রায় ঘিরে বরগুনায় আমরা ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বিশেষ করে আদালত প্রাঙ্গণে রয়েছে আমাদের কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। সরকারি গাড়ি ছাড়া কোনো যানবাহন আদালত প্রাঙ্গণে ঢুকতে পারবে না।’

১৪ অক্টোবর মামলার দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে স্ত্রী আয়শার সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ। ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক আসামি ১০ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি ১৪ জন।

গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা শিশু আদালত। এরপর ১৩ জানুয়ারি থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির মধ্যে কারাগারে থাকায় ছয় আসামিকে প্রথমে আদালতে আনা হয়। জামিনে থাকা বাকি আট আসামিকেও আইনজীবীদের মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এই মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিচারের রায় ঘোষণা করেন বরগুনা জেলা দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান। ১০ আসামির মধ্যে নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকাসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।