Thank you for trying Sticky AMP!!

বরগুনায় ভাঙা বাঁধ দিয়ে এখনো লোকালয়ে পানি ঢুকছে

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ভেঙে যাওয়া বাঁধ দিয়ে লোকালয় পানি ঢুকছে। আজ বৃহস্পতিবার বরগুনা সদর উপজেলার মাইঠা গ্রামে। ছবি: মোহাম্মদ রফিক

বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে উচ্চ জোয়ারের তোড়ে ভেঙে যাওয়া বাঁধ দিয়ে এখনো লোকালয়ে পানি ঢুকছে। জোয়ারের পানি ঢুকে স্থানীয়দের ঘরবাড়ি ও রবি ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভাঙা বাঁধ দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বরগুনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বরগুনায় প্রায় ১৪ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গেছে। আম্পানের প্রভাবে বরগুনায় বুধবার রাতে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে জেলার বিভিন্ন স্থানের ১৫টি পয়েন্টে ১৩ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আয়লা পাতাকাটা, জাঙ্গালিয়া, বুড়িরচর, লবনগোলা, মাইঠা, নলটোনা, পাথরঘাটার জিনতলাসহ অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামতের জন্য প্রায় ১৪ কোটি টাকা দরকার হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার মাইঠা, জাঙ্গালিয়া, লবণগালা এলাকায় ভাঙা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি লোকালয় ঢুকে পড়ছে। এর ফলে বিভিন্ন ফসলের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া ঘের ও পুকুরের মাছ পানির স্রোতের সঙ্গে ভেসে যাচ্ছে।

মাইঠা গ্রামের বাসিন্দা মো. হিরণ বলেন, বাঁধ ভেঙে বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। দুই দিন ধরে ভাঙা স্থান দিয়ে পানি ঢুকছে। এতে রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাথরঘাটা উপজেলার বলেশ্বর নদের তীরবর্তী কাঁঠালতলীর মো. ইমন বলেন, বেড়িবাঁধ ভেঙে দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে মাছের ঘের প্লাবিত হয়ে মাছ ভেসে গেছে।

পাউবো বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বরগুনার প্রধান তিনটি নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে সাড়ে আট ফুট উচ্চতায় জোয়ার প্রবাহিত হয়েছে। জোয়ারের তোড়ে পাথরঘাটা এবং সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বরগুনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ভাঙা বাঁধ সংস্কার করা হবে।