Thank you for trying Sticky AMP!!

বরিশালে করোনা ওয়ার্ডে পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু

বরিশালের হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে এক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে তিনি মারা যান। করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য মৃত্যুর পর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। 

মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মেজবাহ উদ্দীন (৫৪)। তিনি সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) পদে বরগুনার আমতলী থানায় কর্মরত ছিলেন। তাঁকে নিয়ে রোববার সকাল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক মো. বাকির হোসেন।

জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, এসআই মেজবাহ কর্তব্যরত অবস্থায় ২৬ জুন অসুস্থবোধ করেন। ওই দিন বিকেলে তাঁকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বরিশাল বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার বিকেলে তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এ অবস্থায় তাঁকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) উপসর্গ থাকায় তাঁকে হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পরপরই তিনি বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে তিনি মারা যান। মারা যাওয়ার পর করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

মেজবাহর আগে রোববার সকাল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজন মারা যান রোববার সকাল থেকে রাতের মধ্যে। মেজবাহসহ দুজন মারা যান সোমবার। মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে চারজনই নারী। একজন করোনা ‘পজিটিভ’ ছিলেন। বাকি ছয়জনের এই ভাইরাসের বিভিন্ন উপসর্গ ছিল। অবশ্য পরীক্ষায় তিনজনের ফলাফল ‘নেগেটিভ’ এসেছে। বাকি তিনজনের প্রতিবেদন অপেক্ষমাণ আছে।

হাসপাতাল প্রশাসন সূত্র জানায়, গত ২৮ মার্চ থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মোট ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪ জন করোনা রোগী ছিলেন। বাকি ৬০ জন মারা যান এই ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে।

করোনা ওয়ার্ড এত রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক বাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিভাগের সব জেলা থেকে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের শেষ মুহূর্তে এই হাসপাতালে পাঠানো হয়। দেখা যায়, যেসব রোগী এখানে আসেন, তাঁদের বেশির ভাগেরই ফুসফুসের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। অক্সিজেন দেওয়া হলে তাঁদের ফুসফুস আর সক্রিয় হয় না। ফলে এসব রোগী মারা যান। তবু জাতীয়ভাবে মৃত্যুর হারের চেয়ে এখনো এই হাসপাতালে মৃত্যুর হার কম।