Thank you for trying Sticky AMP!!

বরিশালে রোগীদের জন্য ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বাসদের

জরুরি সেবা প্রয়োজন এমন রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বরিশাল নগরে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এর কার্যক্রম শুরু হয়। ছবি: প্রথম আলো

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিংবা জরুরি সেবা প্রয়োজন এমন রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বরিশাল নগরে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরের সদর রোডে অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে এই ফি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়। 

বাসদের দলীয় সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর বরিশাল নগরে বাসদ সচেতনতামূলক কর্মসূচি শুরু করেছে। নিজেদের তৈরি জীবাণুনাশক ও তরল সাবান বিতরণ করছে। খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। এবার সংগঠনটি ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যানে রোগী পরিবহনের অ্যাম্বুলেন্স চালু করল। এ জন্য ১০টি তিন চাকার যানকে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। চালকসহ অন্যরা যাতে রোগীর সংস্পর্শে না আসেন সে জন্য আলাদা চারটি চেম্বার মোটা পলিথিন ও কাপড় দিয়ে পৃথক করে দেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক ও চালকের জন্য সংগঠনটির কর্মীরা নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি করেছেন নিরাপত্তা পোশাক। তাদের হটলাইনে কল করলেই অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সংগঠনটির একজন চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবক রোগীর বাড়ি পৌঁছে যাবেন। এরপর উপসর্গ দেখে তাঁরা চিকিৎসা দেবেন। হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হলে হাসপাতালে পৌঁছে দেবেন।
আজ বেলা ১১টায় অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব অ্যাম্বুলেন্স চালুর ঘোষণা দেন বাসদের জেলা সদস্যসচিব মণীষা চক্রবর্তী। পেশায় চিকিৎসক মণীষা বলেন, 'কাজ করতে গিয়ে আমরা দেখেছি, রাতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর স্বজনেরা কিংবা প্রতিবেশীরা আতঙ্কে তাঁকে হাসপতালে নিতে চাইছেন না। আমরা এমন রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দিতে এই অ্যাম্বুলেন্স তৈরির উদ্যোগ নিই। আমরা এ জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে বিশেষভাবে ১০টি ব্যাটারিচালিত তিন চাকার গাড়িকে অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে তৈরি করি।'
উদ্যোক্তারা জানান, দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা চালু থাকা এসব অ্যাম্বুলেন্সকে নির্ভীক, নির্ভয়, আস্থা, সৌহার্দ্য, আরোগ্য, মুক্তি এমন আলাদা নামকরণ করা হয়েছে। তাদের হটলাইন নম্বর ০১৫৭২৩১৪০৮৫। এই নম্বরে ফোন দিলেই রোগীর বাড়িতে চলে যাবে এসব অ্যাম্বুলেন্স।