Thank you for trying Sticky AMP!!

বাইডেনের সম্মেলনে দাওয়াত না পাওয়া নিয়ে চিন্তার কিছু নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন কার্গো স্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

‘বাইডেনের গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশ দাওয়াত পায়নি, এটি নিয়ে এত চিন্তার কিছু নেই। শত শত সম্মেলন হয় দুনিয়াজুড়ে। কে দাওয়াত দিল না–দিল, সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বরং আমাদের চিন্তা করা উচিত, ভবিষ্যতে নির্বাচন হলে সহিংসতায় যেন কারও মৃত্যু না হয়।’

আজ শুক্রবার সকালে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন কার্গো স্টেশন পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেছেন। এর আগে সকাল নয়টায় তিনি সিলেটে আসেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাইডেন প্রশাসন বেচারা অনেক কষ্ট করে হোয়াইট হাউসে এসেছেন। এখনো ক্যাপিটালে ঝামেলা চলছে। আমেরিকার মতো পরিপক্ব গণতন্ত্রের দেশ, সেখানেই ঝামেলা হয়েছে। আমরা তো সেদিক দিয়ে ভালো আছি। গণতন্ত্র অন্য কেউ শেখাবে না। আপনার দেশের লোকই শেখাবে। গত কয়েক বছরে আমাদের গণতন্ত্র স্থিতিশীল হয়েছে।’

আমেরিকার গণতন্ত্র সম্মেলন প্রসঙ্গে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমেরিকার গণতন্ত্রের নমুনা সবাই দেখেছেন। সম্মেলনে কাকে দাওয়াত দেওয়া হলো, সেটা তাঁদের ব্যাপার, তাঁদের দায়িত্ব। আমেরিকা বিভিন্নভাবে একেক দেশকে চাপে রাখতে চায়। কখনো গণতন্ত্র, কখনো গুড গভর্ন্যান্স, টেররিজম, করাপশন—এসব কথা বলে চাপে রাখতে চায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিমানবন্দর পরিদর্শনের সময় সিলেটের জেলা প্রশাসক, বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপকসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন

এদিকে সিলেট আন্তর্জাতিক ওসমানী বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সিলেট বিমানবন্দর বড় করা হয়েছে। এ বিমানবন্দর থেকে দেশে সরাসরি ফ্লাইট যাবে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের লোকজনও এখান থেকে বিভিন্ন দেশে যাতায়াতের সুবিধা পাবেন বলে জানান তিনি।

বিমানবন্দরে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।