Thank you for trying Sticky AMP!!

বাউফলে আ.লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, গোলাগুলি

পটুয়াখালী জেলার মানচিত্র

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও দলটির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে আবার সংঘর্ষ হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে নওমালা ইউনিয়নের নগরের হাট এলাকায় সংঘর্ষ চলার সময় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনার জন্য এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দায়ী করছে।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নওমালা ইউপির ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহাজাদা হাওলাদারের নগরের হাট বাসভবনে ও দোকানে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কামাল হোসেনের নেতা-কর্মীরা হামলা চালান। এ সময় তাঁরা ব্যাপক ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা ছুটে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি ও কয়েকটি গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় তিন-চারটি গুলি ছোড়া হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য তিনটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে।

এর আগে গত শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে নওমালা কলেজ সড়কের সাহা গাজীর বাড়ির সামনে ওই দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ওই সময় কামাল হোসেনের পক্ষের ছোড়া গুলিতে শাহাজাদা হাওলাদারের কর্মী মো. সজীব (২০) গুলিবিদ্ধ হন। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর শরীর থেকে গুলি বের করা হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদা হাওলাদার বলেন, ‘আমার কর্মী সজীবকে কামাল হোসেনের সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। আজকেও তাঁর সন্ত্রাসীরা আমার বাসভবনে হামলা চালিয়েছে এবং গুলি করেছে।’

নৌকার প্রার্থী কামাল হোসেন জানান, বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইয়াছিন ডাক্তার বাড়িতে গণসংযোগ করতে যান। তখন শাহজাদাপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাঁদের বাধা দেন এবং লাঞ্ছিত করেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের হাট এলাকায় একই সন্ত্রাসীরা তাঁর নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান এবং ঘোড়ার প্রতীকের কর্মী মিজান (৩৫) তাঁর নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোড়ে। শাহাজাদা হাওলাদারের বাসায় কে বা কারা হামলা চালিয়েছে, তা তিনি জানেন না বলেও দাবি করেন।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন সংঘর্ষ ও গুলি ছোড়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় তিন-চারটি গুলি ছোড়া হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য তিনটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে। যাঁরা গুলি ছুড়েছেন, তাঁদেরকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।