Thank you for trying Sticky AMP!!

বাউফলে সেই কর্মকর্তাকে কোপানোর হুমকি, উদ্বিগ্ন স্বজনেরা

সরকারি কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে করা মামলায় পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন হাওলাদার (৫০) কারাগারে আছেন। এবার ওই সরকারি কর্মকর্তাকে কোপানোর হুমকি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন কনকদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেজবা উদ্দিন তালুকদার (৪০)।
এ ঘটনায় আতঙ্কিত ওই কর্মকর্তা এবং উদ্বিগ্ন তাঁর স্বজনেরা। ওই কর্মকর্তার নাম মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা (৪৮)। তিনি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে বাউফলে কর্মরত। তাঁর বাড়ি উপজেলার কনকদিয়া গ্রামে।
মেজবা ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আনছার উদ্দিন মোল্লা, রান্দার (রামদা) কোপ খাওয়ার জন্য তৈরি হো (হও)।’ এ ছাড়া ওই স্ট্যাটাসে তিনি শাহিন চেয়ারম্যানের পক্ষ নিয়ে আবদুল মোতালেব হাওলাদারকেও হুমকি দেন।
আনছার উদ্দিন বলেন, ‘আমি মারধরে অসুস্থ হয়ে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য এসেছি। আমি খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি। আমাকে প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি শঙ্কিত। প্রকাশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোপানোর হুমকি দেওয়ায় আমার স্বজনেরা আমাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমি ঢাকা থেকে এসে এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিব।’

আওয়ামী লীগ নেতা মেজবা উদ্দিন বলেন, ‘আমার আইডি হ্যাক করে কেউ ওই স্ট্যাটাস দিয়েছে, যা মুছে ফেলা হয়েছে।’ তবে তিনি ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনের কাছের লোক বলেও দাবি করেন।
প্রসঙ্গত ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে আনছারের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনের দেখা হলে কথা শোনার জন্য তাঁকে (আনছার) ডাকেন শাহিন। ডেকে নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের নাম ধরে গালাগাল করেন। আনছার উদ্দিন এর প্রতিবাদ করলে তাঁকে শাহিন মারধর করে আহত করেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ওই রাতেই আনছার উদ্দিন বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পরে গত মঙ্গলবার ভোরে শাহিনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠান। পরে আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শিহাব উদ্দীন তাঁকে কারাগারে পাঠান। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
এ নিয়ে ৩০ অক্টোবর প্রথম আলোর অনলাইনে ‘সরকারি কর্মকর্তাকে মারলেন ইউপি চেয়ারম্যান’ শিরোনামে এবং ৩ নভেম্বর ‘বাউফলে সরকারি কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।