Thank you for trying Sticky AMP!!

বাদীর বিরুদ্ধেই আদালতে হত্যা মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

প্রতীকী ছবি

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় হত্যা মামলার বাদীর বিরুদ্ধেই একই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করা হয়েছে। শাহাবুল হক নামের এক ব্যক্তি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত বদরগঞ্জে ওই মামলা করেন। রংপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্ত করে আগামী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার নথিপত্র, এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাঁচাবাড়ি মৌজায় ২৯ শতক কৃষিজমি নিয়ে কৃষক মমিনুল হক ও ইউনুছ আলীর মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর সকাল ৮টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে লাঠির আঘাতে মমিনুলের ফুফু সায়েদা বেগম (৫৮) নিহত হন। এ ঘটনায় মমিনুল বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় ওই দিনেই ইউনুছসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৩ জুলাই ইউনুছ আলীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বর্তমানে মামলাটি ওই আদালতেই বিচারাধীন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ইউনুছ আলী স্থানীয় একটি প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ওই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের প্রায় ১৪ মাস পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর ওই প্রতিবন্ধী স্কুলের পিয়ন শাহাবুল হক বাদী হয়ে সায়েদা বেগমকে হত্যার ঘটনায় বাদী মমিনুলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
আদালতে দায়ের করা শাহাবুলের হত্যা মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে মমিনুলের দায়ের করা হত্যা মামলার আসামিদের ভাই-ভাতিজাসহ নিকটাত্মীয়দের।
মমিনুল অভিযোগ করে বলেন, ‘এর আগেও হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি তাজকুল ইসলাম বাদী হয়ে রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে আমি, আমার স্ত্রী, বাবাসহ ২১ জনের নামে মাদকের ব্যবসা, মাদক সেবন ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেছিলেন। রংপুর পিবিআইয়ের এসআই দুলাল চন্দ্র অধিকারী তদন্ত করে মামলাটি মিথ্যা হিসেবে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন।’ ওই প্রতিবেদনে পুলিশ উল্লেখ করেছে, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে তাজকুল ও তাঁর লোকজন মমিনুলের বসতবাড়িতে এসে মমিনুলসহ তাঁর লোকজনকে মারধর করেন। এতে মমিনুলের ফুফু সায়েদা গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মারা যান।

মমিনুল অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘হত্যা মামলার আসামিরা মামলার দায় থেকে রক্ষা পেতে ও আমাকে হয়রানি করতে কৌশলে প্রতিবন্ধী স্কুলের পিয়ন শাহাবুলকে বাদী সাজিয়ে আমি, আমার স্ত্রী, বাবাসহ পাঁচজনের নামে একই হত্যার অভিযোগ এনে আবারও আদালতে মামলা করেছেন। শাহাবুল নিহত সায়েদার কেউ নন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহাবুল বলেন, ‘আমি আদালতে মমিনুলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছি। তাই মামলা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।’