Thank you for trying Sticky AMP!!

বানরের উৎপাত থেকে বাঁচতে মানববন্ধন

বানরের ‘অত্যাচার’ থেকে বাঁচতে ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর মানববন্ধন। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে

মাদারীপুর পৌর এলাকায় বানরের ‘অত্যাচার’ থেকে মুক্তি পেতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন করেন পৌর এলাকার চরমুগরিয়া, খাগদী, থানতলী ও পাকদী এলাকাবাসী। বিভিন্ন স্লোগান লেখা ব্যানার-ফ্যাস্টুন হাতে এলাকার শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সের মানুষ এতে অংশ নেন।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, চরমুগরিয়া, খাগদী, থানতলী ও পাকদী এলাকায় দীর্ঘকাল ধরেই একদল বানর বসবাস করে। ক্রমেই বানরের উৎপাত বেড়ে চলছে। বন বিভাগের উদাসীনতায় খাবার পাচ্ছে না ওই এলাকার প্রায় দুই হাজার বানর। এতে লোকালয়ে প্রবেশ করে উত্ত্যক্ত করছে এই প্রাণী। প্রতিনিয়ত মানুষের বাসাবাড়িতে হানা দিয়ে ছিনিয়ে নিচ্ছে মানুষের খাবার। ফলে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সাইফুল ইসলাম নামের এক যুবক বলেন, বানরের অত্যাচারে সবাই এখন অতিষ্ঠ। আগে সরকার বানরগুলোকে খাবার দিত। এখন দেয় না, তাই ওরা খাবার সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে মানুষকে অতিষ্ঠ করে তোলে। এমনকি বানরগুলো মানুষ ও শিশুদের কামড়ও দেয়।

খলিল মৃধা নামের আরেকজন বলেন, ‘আমরা বানরের হাত থেকে বাঁচতে চাই। বানরের জন্য পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা হলে হয়তো বানরগুলো মানুষের বাসাবাড়িতে হানা দেবে না।’

জানতে চাইলে জেলা ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা তাপস কুমার সেনগুপ্ত মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ওই এলাকায় বানরের খাবারের জন্য কর্মসূচি চালু ছিল। কিছুদিন বন্ধ থাকায় বানরগুলো কিছু এলাকায় হয়তো উত্ত্যক্ত করেছে। তবে বানরের খাবারের জন্য আর সমস্যা নেই। ইতিমধ্যে বানরের খাবার সরবরাহের জন্য ৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকার দরপত্র হয়ে গেছে। এ ছাড়া স্থানীয় সাংসদের সহযোগিতায় বানরের খাবারের জন্য ৬০ লাখ টাকার একটি প্রকল্পও অনুমোদন হয়েছে। আগামী তিন বছর বানরের খাবারের জন্য আর কোনো অসুবিধা হবে না। খাবারের সংকট কেটে গেলে বানরগুলো আর মানুষকে উত্ত্যক্ত করবে না।