Thank you for trying Sticky AMP!!

বানেশ্বর হাটে আম ৪০ কেজিতে মণ না হলে দণ্ড

গোপালভোগ আম ৫৫ টাকা কেজি ও ২ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। আজ শুক্রবার রাজশাহী নগরের শিরোইল–ঢাকা বাস টার্মিনাল এলাকায়

দেশের উত্তরাঞ্চলের বড় আমের হাট বসে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরে। এ হাটের ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের চর্চা, তাঁরা ৪৫ কেজিতে মণ দরে চাষিদের কাছ থেকে আম কিনে থাকেন। রাজশাহীর বাইরে তাঁরা ৪০ কেজিতে মণ ধরে আবার বিক্রি করেন।

আজ শুক্রবার পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ ৪০ কেজিতে মণ ধরেই চাষির কাছ থেকে আম কেনার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি নির্দেশনা জারি করেছেন। এর ব্যত্যয় হলে দণ্ডের ঘোষণা দিয়েছেন। এই মর্মে আজ বাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন ২০১৮ অনুসারে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন ইউএনও।

প্রথম নির্দেশনা: কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আম পরিবহনের ক্ষেত্রে অর্ডার নেওয়ার পর প্যাকেট থেকে আম চুরি বা অন্য কোনোভাবে আম খোয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কুরিয়ার সার্ভিসকে এর দায়ভার বহন করতে হবে ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

দ্বিতীয় নির্দেশনা: কোনো লেনদেন বা মালামাল সরবরাহের কাজে মেট্রিক পদ্ধতির অনুসরণ ব্যতীত অন্য কোনো পদ্ধতির ওজন বা পরিমাপ ব্যবহার করা যাবে না।

কোনো ব্যক্তি যদি ওজন বা পরিমাপ বা সংখ্যা মানের মানদণ্ড ব্যতীত অন্য কোনো ওজন বা পরিমাপ বা সংখ্যা মান ব্যবহার করেন, তাহলে তিনি অনূর্ধ্ব ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা অনূর্ধ্ব ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, আইন অনুযায়ী মেট্রিক পদ্ধতিতে ৪০ কেজিতে এক মণ।

মণে কেনাবেচা হলে ৪০ কেজির বেশি দাবি করা আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। যদি ৪০ কেজির বেশিতে কেনাবেচা করতে হয়, সে ক্ষেত্রে কেজিতে ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য বলা হলো। কেজিতে ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতি কেজির দাম প্রথমে নির্ধারণ করতে হবে।

ওজন ও পরিবহনের জন্য ওপরে দুটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করা হয়। সেগুলো হলো—

* শোলা প্রথা বাতিল, নির্ধারিত খাজনার অতিরিক্ত টাকা আদায় না করা, মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে হাটের নির্ধারিত স্থানে কেনাবেচা করা, বানেশ্বর বাজারের আম ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা, সার্বিক সহযোগিতা ও সুষ্ঠুভাবে বাজার পরিচালনার স্বার্থে প্রত্যেক আম ব্যবসায়ীকে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নিবন্ধিত হওয়া।
* আম ব্যবসায়ীরা আমের গায়ে আমের মূল্য লিখতে পারবেন না। আমের মূল্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর নির্ধারিত প্যাডে/স্লিপে/কাগজে/চিরকুটে লিখে স্বাক্ষর করতে হবে।
* ব্যবসায়ীরা আমের গুণগত মান ও দর-কষাকষি বাজারে শেষ করবেন। আড়তে গিয়ে নতুনভাবে দর-কষাকষি ও চাষিকে হয়রানি করা যাবে না।

* ভ্যান বা ছোট গাড়িতে আম বানেশ্বর বাজারে আনা যাবে, কিন্তু গাড়িগুলোতে মানুষ পরিবহন করা যাবে না।
* স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, এমন কোনো ধরনের কেমিক্যাল আমে ব্যবহার করা যাবে না।
* আম ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক।
ইউএনও নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, এখনো আমের ভরা মৌসুম শুরু হয়নি। সবে কেনাবেচা শুরু হয়েছে। শনিবার থেকে নিয়মিত তিনি বানেশ্বর আমের হাটে থাকবেন। ব্যবসায়ীদের এসব নির্দেশনা মেনে আম কেনাবেচার জন্য বলা হচ্ছে।