Thank you for trying Sticky AMP!!

বাসস্ট্যান্ডে ফেলে যাওয়া ব্যক্তির 'করোনা পজিটিভ' নিশ্চিত করল কর্তৃপক্ষ

প্রতীকী ছবি

জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকা থেকে রংপুরে যাওয়ার পথে বগুড়ায় বাসস্ট্যান্ডে ফেলে যাওয়া সেই ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতির কথা অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ ছাড়া আইসোলেশনে মারা যাওয়া ১৩ বছরের শিশুর শরীরে করোনার উপস্থিতি মেলেনি জানিয়েছে তারা।

আজ শনিবার রাত সাড়ে আটটায় মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এটিএম নুরুজ্জামান প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আইসোলেশনে ভর্তি রংপুরের ওই ব্যক্তির দেহে করোনার উপস্থিতি মিলেছে। একটু আগে ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে বিষয়টি তাঁদের নিশ্চিত করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক বলেন, শনিবার নতুন করে আইসোলেশনে করোনার উপসর্গ নিয়ে দুই নারীসহ আরও তিনজন ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের শরীর থেকে কাল রোববার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। এ ছাড়া আগে থেকে আইসোলেশনে ভর্তি চারজনের মধ্যে একজনের দেহে করোনার উপস্থিতি মিলেছে। এর বাইরে দুদিন আগে আইসোলেশনে মারা যাওয়া গাবতলী উপজেলার ১৩ বছরের শিশুটি করোনায় আক্রান্ত ছিল না বলে আইইডিসিআর থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার ভোররাতে বগুড়ার মহাস্থান বাসস্ট্যান্ডে ট্রাক থেকে ওই ব্যক্তিকে ফেলে যাওয়া হয়। তিনি বর্তমানে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য গত বুধবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে বলে বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্টদের মৌখিকভাবে জানানো হয়। ওই ব্যক্তির সংস্পর্শ আসা শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদ্‌রোগ বিভাগের প্রধানসহ পাঁচজন চিকিৎসক, আটজন নার্সসহ মোট ১৬ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তির কাছ থেকে সবাইকে দূরে থাকার পরামর্শ দেয়।

পরীক্ষায় ওই ব্যক্তির করোনাভাইরাস পজিটিভ এলেও আইইডিসিআর আবার পরীক্ষা করাতে চায়। এ কারণে গত দুদিন ধরে এ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হচ্ছিলেন না হাসপাতাল প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। এ নিয়ে প্রথম আলো অনলাইনে আজ শনিবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর তোলপাড় শুরু হয়। পরে আইইডিসিআর থেকে সন্ধ্যায় হাসপাতাল প্রশাসনকে করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর কবির প্রথম আলোকে বলেন, ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় যেসব ব্যক্তি তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের কোয়ারেন্টিনে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।