Thank you for trying Sticky AMP!!

বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট বর্জনের ঘোষণা

পৌরসভা নির্বাচন

সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচন চলার সময় মেয়র পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে বিএনপি প্রার্থী শেখ শরিফুজ্জামান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নার্গিস সুলতানা পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন।

বিএনপির মেয়র প্রার্থী শেখ শরিফুজ্জামান কলারোয়া সদরের কাছারিমোড় এলাকার তাঁর নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি ৩, ৮ ও ৯ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখেন তাঁর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। তিনি দেখেন, ৯ নম্বর কেন্দ্রে প্রিসাইটিং কর্মকর্তার কক্ষ বন্ধ করে ব্যালটে সিল মারা হচ্ছে। উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করে কোনো ফল হয়নি। তাঁর সমর্থকদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। আবার কয়েকটি কেন্দ্রে মেয়র পদের ব্যালট দেওয়া হয়নি ভোটারদের। প্রশাসনের সহযোগিতা আওয়ামী লীগের কর্মীরা ভোট সন্ত্রাস করায় তিনি ভোট বর্জন করছেন।

একইভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী নার্গিস সুলতানা কলারোয়া সদরের তাঁর গদখালি বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তাঁর এজেন্টদের কোথাও থাকতে দেওয়া হয়নি। পুলিশের সহযোগিতায় ভোট কেটে নেওয়া হচ্ছে। ভোটারদের মেয়র পদের ব্যালট দেওয়া হয়নি। হুমকি–ধমকি দেওয়া হচ্ছে। কলারোয়া পৌরসভায় সাধারণের ভোটাধিকার না থাকায় তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

এ ছাড়া ছয়জন কাউন্সিলর প্রার্থী তাঁদের কর্মী ও সমর্থক ভোট দিতে না দেওয়া, এজেন্টের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
এদিকে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী ও বিএনপি বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আক্তারুল ইসলাম কয়েক দিন আগে সংবাদ সম্মেলন মাধ্যমে মেয়র পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
কলারোয়া নির্বাচন কর্মকর্তা মনোরঞ্জন বিশ্বাস জানান, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী হন। আওয়ামী লীগের মো. মনিরুজ্জামান ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী। বিএনপির শেখ শরিফুজ্জামান ও বিএনপি বিদ্রোহী মো. আক্তারুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নার্গিস সুলতানা।