Thank you for trying Sticky AMP!!

বিদেশি কোম্পানি নয়, বাপেক্সকে দিয়ে ভোলার গ্যাস উত্তোলন করার দাবি

ভোলার গ্যাস রুশ কোম্পানি গাজপ্রমকে ইজারা দেওয়ার প্রতিবাদে বাসদের মানববন্ধন ও সমাবেশ। আজ বুধবার সকালে বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে

ভোলার গ্যাস রুশ কোম্পানি গাজপ্রমকে ইজারা দেওয়ার প্রতিবাদে বরিশালে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। আজ বুধবার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচি আয়োজন করে দলটি।

আজ বেলা সাড়ে ১১টায় নগরের অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বাসদের নেতারা বলেন, বিদেশি কোম্পানি নয়, দেশীয় মালিকানা নিশ্চিত করে ভোলার গ্যাস দেশীয় কোম্পানি দিয়ে উত্তোলন করতে হবে। পাশাপাশি বরিশাল বিভাগে গ্যাসভিত্তিক কারখানা নির্মাণ করে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাসদের বরিশাল জেলা আহ্বায়ক ইমরান হাবিব। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জেলা বাসদের সদস্যসচিব মনীষা চক্রবর্তী।

বক্তারা বলেন, ‘২০১৭ সালে ভোলার এ দ্বিতীয় গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। তারা এ গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে সক্ষম হলেও আমরা অবাক বিস্ময়ে লক্ষ করছি যে এ গ্যাস উত্তোলনে বিদেশি কোম্পানি গাজপ্রমের সঙ্গে চুক্তির নীলনকশা করা হচ্ছে।’
বাসদের নেতারা বলেন, বিদেশি কোম্পানিকে দিয়ে এ গ্যাস উত্তোলনে খরচ হবে প্রায় দ্বিগুণ। বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্পষ্টভাবে দেশের সম্পদ লুটপাটের এক ঘৃণ্য পাঁয়তারা এবং জাতীয়ভাবে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পথে বড় বাধা।

নেতারা আরও বলেন, গ্যাস উত্তোলনের কাজ গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের তুলনায় সহজ এবং বাপেক্স এ কাজ দীর্ঘদিন থেকে দক্ষতার সঙ্গেই করে যাচ্ছে। যেখানে বাপেক্স একটি গ্যাসকূপ খননে সর্বোচ্চ ৮০ কোটি টাকা খরচ করে, সেখানে গাজপ্রমের সঙ্গে একই কাজ ১৮০ কোটি টাকায় খননের চুক্তি করা হচ্ছে। বাপেক্স যেখানে প্রতিবছর তিন–চারটি কূপ খননের ক্ষমতা রাখে, সেখানে কোনোভাবেই বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে এ লুটপাট আর দাসত্বের চুক্তি জনগণ মেনে নেবে না।

অবিলম্বে বিদেশি কোম্পানি গাজপ্রমের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে দেশীয় কোম্পানি বাপেক্স-পেট্রোবাংলার সাহায্যে ভোলার গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন করার দাবি জানান বক্তারা। দাবি আদায়ে বরিশালে বিভাগীয় সমাবেশ, লংমার্চ এবং প্রয়োজনে হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচি দিয়ে সরকারকে বাধ্য করা হবে বলে জানান বাম নেতারা।

সমাবেশে বক্তব্য দেন বাসদের জেলা কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের শহীদুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সৈয়দ মাহিন, কৌশিক বেপারী প্রমুখ।