Thank you for trying Sticky AMP!!

বিদ্যালয়ের ভবনে পানি, খুপরি ঘরে পাঠদান

অস্থায়ী খুপরি ঘরে চলছে পাঠদান। গত শনিবারের ছবি

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় খরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকা জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে। এর ফলে বিদ্যালয়ের ভবনে পাঠদান করা যাচ্ছে না। রাস্তার পাশে অস্থায়ী খুপরি ঘর বানিয়ে পাঠদান করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইসলামকাটি ইউনিয়নে অপরিকল্পিত ঘের নির্মাণ করে মাছ চাষের কারণে পানি নিষ্কাশন হয় না। এ কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

গত শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, খরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ভবন, শৌচাগার ও নলকূপ পানিতে নিমজ্জিত। রাস্তার পাশে একটি ছোট জায়গা বাঁশের চটা দিয়ে ঘিরে ও গোলপাতার ছাউনির নিচে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। চতুর্থ শ্রেণির নয়জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা হচ্ছে। একই ঘরের মধ্যে প্রধান শিক্ষকসহ অপর চারজন শিক্ষক অবস্থান করছেন।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী দীপু মণ্ডল ও জুবাইদা সুলতানা জানায়, মূল ভবনের শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকেছে। নলকূপের ভেতর পানি ঢুকেছে। ফলে সেই পানি পান করা যায় না। করোনাকালে বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস চলছে বিদ্যালয়ের মূল ভবনের সামনে রাস্তার পাশে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ জাকির হোসেন বলেন, একসময় কপোতাক্ষ নদ তাঁদের কাছে অভিশাপ ছিল। কপোতাক্ষ খনন হয়েছে। প্রতিবছর আর কপোতাক্ষের দুই তীর ভেসে তাঁদের ঘরবাড়ি ডুবে যায় না। এবার বেশি বৃষ্টি হওয়ায় ও নিয়ম না মেনে অপরিকল্পিত ঘের করার কারণে বিদ্যালয়ের ভবনসহ এলাকার অর্ধশতাধিক বাড়িও রয়েছে পানির নিচে। এখন তাঁদের খাবার পানি আনতে দূরে যেতে হয়। এ সমস্যা আর কত মাস তাঁদের সইতে হবে, তা কে জানে।

শেখ জাকির হোসেন আরও বলেন, বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৬৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে শুধু এবার নয়, গতবারও এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। প্রতিবছর চার থেকে সাড়ে চার মাস এ রকম পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হয়।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিকাশ চন্দ্র রায় বলেন, অপরিকল্পিত মাছের ঘের ও ভবানীপুর খালের পাশে বাঁধ দেওয়ায় বারাত বিলের পানি সরতে পারছে না। ঘেরের কারণে বিদ্যালয়ের সামনে থেকে মোহনা বাজার যাওয়ার রাস্তাটি সরু হয়ে গেছে। প্রশাসনিকভাবে উদ্যোগ না নিলে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার সুযোগ নেই।