Thank you for trying Sticky AMP!!

সড়কে খুঁটি থাকায় সম্প্রসারণের কাজ ধীরগতিতে চলছে। সম্প্রতি রাজবাড়ী পৌরসভার চরলক্ষ্মীপুরের তালতলা এলাকায়।

বিদ্যুতের খুঁটিতে আটকে আছে চার লেনের কাজ, ভোগান্তি

সড়কের কাজে অগ্রগতি ৯০ শতাংশ এবং ড্রেন নির্মাণে ৬০ শতাংশ। তৃতীয় দফায় মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি মাসে।

রাজবাড়ী শহরের পৌর এলাকায় সড়কের চার কিলোমিটার চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে ধীরগতিতে। ইতিমধ্যে কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে তিনবার। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে, সড়কের মধ্যে খুঁটি থাকায় কাজ শেষ করতে দেরি হচ্ছে। এর ফলে ওই সড়কে যাতায়াত করতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা।

রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শ্রীপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে চরলক্ষ্মীপুর আহমদ আলী মৃধা কলেজ এলাকা পর্যন্ত চার কিলোমিটার চার লেনে উন্নীত করা হচ্ছে। এই কাজের দায়িত্ব পেয়েছে স্পেকটা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ও ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন। ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর কার্যাদেশ দেওয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৯ সালের ২৬ জুন কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হয়নি। জুনের মাঝামাঝি সড়কের কাজে অগ্রগতি ৯০ শতাংশ এবং ড্রেন নির্মাণে ৬০ শতাংশ। তৃতীয় দফায় বাড়ানো মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি মাসে।

সড়কের তিনটি অংশে পৃথকভাবে দরপত্র আহ্বান করা হয়। তিন অংশের চুক্তি মূল্য ৩০২ কোটি ২৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। সড়ক চওড়া হবে ৩৪ ফুট। পৌরসভার চার কিলোমিটার চার লেন হবে। রাস্তার মাঝখানে চার ফুটের একটি সড়ক বিভাজক থাকবে। আর দুই পাশে রাস্তা থাকবে ২৯ ফুট। এ ছাড়া রাস্তার দুই পাশে ড্রেন নির্মাণ করা হবে। রাস্তার উত্তর পাশে ড্রেন হবে চার কিলোমিটার এবং দক্ষিণ পাশে ড্রেন হবে চার দশমিক সাত কিলোমিটার। ড্রেন নির্মাণকাজের দায়িত্ব পেয়েছে স্পেকটা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ও ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন এবং ওয়েস্টার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড শিপিং ও রানা বিল্ডার্স। পুরো কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০ কোটি টাকা।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের শ্রীপুর বাস টার্মিনাল থেকে বড়পুল মোড় পর্যন্ত দুই পাশে রাস্তার মূল কাজ সম্পন্ন হয়েছে। রাস্তার মাঝখানে সড়ক বিভাজক এনে রাখা হয়েছে। ড্রেনের কাজও চলছে। বড়পুল থেকে চরলক্ষ্মীপুর পর্যন্ত রাস্তার একপাশ পাকা করা হয়েছে। চরলক্ষ্মীপুরের তালতলা এলাকায় ড্রেনের কাজ শুরু হয়েছে। খননযন্ত্র দিয়ে রাস্তা খোঁড়া হচ্ছে। কিছু দূর পরপর রাস্তা বা ড্রেনের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি দাঁড়িয়ে রয়েছে।

স্পেকটা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ও ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশনের স্থানীয় প্রতিনিধি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘করোনার কারণে কাজ কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ও বিভিন্ন স্থাপনার কারণে কাজে দেরি হচ্ছে। বাধ্য হয়ে রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই ড্রেন নির্মাণ করছি। কাজ ফেলে রাখলে আর্থিক ক্ষতি হয়।’

রাজবাড়ী ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুর রহমান বলেন, ভবনের কারণে চাহিদামতো খুঁটি সরানো যায়নি। অনেকেই ব্যক্তিমালিকানার জমিতে বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন করতে দেন না।

সওজের রাজবাড়ী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরীফ খান বলেন, ‘খুঁটি সরানোর জন্য অনেক আগেই বিদ্যুৎ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। রাস্তা ও ড্রেনের মাঝখানে বিদ্যুতের প্রায় ১২০টি খুঁটি রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের গতি বাড়িয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।’