Thank you for trying Sticky AMP!!

বিবাহিত, প্রবাসীদের নিয়ে সেনবাগ ছাত্রদলের কমিটি গঠনের অভিযোগ

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন। রোববার দুপুরে উপজেলার ছমিরমুন্সিরহাট বাজারের একটি কমিউনিটি সেন্টারে

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা ছাত্রদলের সদ্যঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ‘পদবঞ্চিতরা’। তাঁদের অভিযোগ, বিবাহিত, প্রবাসী ও ছাত্রলীগের কর্মীদের দিয়ে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে উপজেলার ছমিরমুন্সিরহাটের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের আলটিমেটাম দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক ও আহ্বায়ক পদপ্রত্যাশী ফখরুল ইসলাম ওরফে রুবেল। আরও বক্তব্য দেন ২ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক ও আহ্বায়ক পদপ্রত্যাশী রবিউল হাসান ওরফে তুহিন, ৪ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক ও আহ্বায়ক পদপ্রত্যাশী মজিবুর রহমান এবং আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান না পাওয়া সেনবাগ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে নেতারা অভিযোগ করেন, ১৪ জানুয়ারি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আজগর উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান মো. নোমান স্বাক্ষরিত ২১ সদস্যবিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে মামলা-হামলা ও নির্যাতনের শিকার ত্যাগী নেতা-কর্মীদের পদ না দিয়ে বিবাহিত, প্রবাসী, ছাত্রলীগ কর্মী এবং অছাত্রদের পদ দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন দুই সন্তানের জনক। যুগ্ম আহ্বায়ক সোলেমান রাজু বিবাহিত। যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান ওরফে মিরাজ এবং সদস্য আনিসুর রহমান ওরফে রানা দুজনেই প্রবাসী। সদস্য আবু শাকের মো. জাকারিয়া (ছাত্রলীগ কর্মী)। জেলা ছাত্রদলের নেতারা টাকার বিনিময়ে আহ্বায়ক কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের পদ-পদবি দিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আজগর উদ্দিন রোববার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, সেনবাগে ছাত্রদলের একাধিক পক্ষ। তাদের পেছনে রয়েছেন বিএনপির প্রভাবশালী বিভিন্ন নেতা। সবাই আহ্বায়কের পদ চাইলে তা তো দেওয়া সম্ভব নয়।

এক প্রশ্নের জবাবে আজগর উদ্দিন বলেন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির প্রস্তাব কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে কয়েক মাস আগে। তখন অবিবাহিত, ছাত্র ও যোগ্যদের দিয়েই কমিটির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাব পাঠানোর পর কেউ বিয়ে করলে কিংবা বিদেশে গেলে তো কিছু করার থাকে না। তবে পদবঞ্চিতরা কারও বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ নিয়ে এলে তাঁকে বাদ দেওয়া হবে।

জেলা ছাত্রদল সভাপতি আরও বলেন, আবু শাকের মো. জাকারিয়া নামের যাঁকে ছাত্রলীগের কর্মী বলা হচ্ছে, তিনি প্রকৃতপক্ষে ছাত্রদলের কর্মী। একই নামের একজন রয়েছেন ছাত্রলীগের কর্মী। তাঁর ডাকনাম আশিক। আশিককে ছাত্রদলের নেতা বানানো হয়েছে বলে প্রচার করছেন পদবঞ্চিতরা।