Thank you for trying Sticky AMP!!

বিয়ের কথা বলে তরুণীকে ডেকে এনে তিনজন মিলে ধর্ষণের অভিযোগ

নরসিংদীর শিবপুরে বিয়ের কথা বলে ডেকে এনে এক তরুণীকে (২৪) তিনজন মিলে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী তিনজনকে আসামি করে শিবপুর মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর ওই রাতেই তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে শিবপুর উপজেলার কুন্দারপাড়া গ্রামের চাঁনপাশা বাজার এলাকার একটি ধানখেতে দলবদ্ধ ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার এক দিন পর গতকাল রাত ১১টার দিকে শিবপুর মডেল থানায় মামলা করেন ওই তরুণী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।

এই ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন হলেন রায়পুরা উপজেলার সাহেরচর এলাকার মোমরেজ খানের ছেলে আক্তার হোসেন (৩০) ও জামির আলীর ছেলে রহিম খান (৩২)। অপর আসামি মোমেন ওরফে মোনায়েম খানকে (২৬) গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁরা তিনজনই এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত।

ওই তরুণীর বাড়ি পলাশে। আসামিদের বাড়ি রায়পুরায়। আর ঘটনা ঘটেছে শিবপুরে। এই ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে ওই তরুণী মামলা করেছেন। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে রাতেই অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বাড়ি পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে। ছয় বছর আগে পলাশ উপজেলারই এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে দাম্পত্য কলহের জেরে তাঁদের ছাড়াছাড়ি হয়। বর্তমানে ওই তরুণী সদর উপজেলার একটি মোমবাতি তৈরির কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। তাঁর দুই বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

এজাহারে বলা হয়েছে, ওই মোমবাতি তৈরির কারখানায় কাজ করতে গিয়ে সালমা নামের এক সহকর্মীর সঙ্গে সখ্য তৈরি হয় ওই তরুণীর। এর সূত্র ধরেই সালমার ভাই আক্তার হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে নিয়মিত কথা বলতেন ওই তরুণী। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত মঙ্গলবার বিকেলে বিয়ের কথা বলে ওই তরুণীকে শিবপুর উপজেলার ইটাখোলা এলাকায় ডেকে আনেন আক্তার। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সহযোগী রহিম ও মোমেন। ইটাখোলা থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তাঁরা দীর্ঘ সময় বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করেন। রাত সোয়া আটটার দিকে শিবপুরের কুন্দারপাড়া এলাকার চানপাশা বাজারে নিয়ে যাওয়া হয় ওই তরুণীকে। পরে সেখানকার একটি নির্জন ধানখেতে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন ওই তিনজন। পরে হত্যার হুমকি দিয়ে তাঁকে সেখানে রেখেই পালিয়ে যান অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। পরে এক প্রতিবেশীকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানালে তিনি এসে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

শিবপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল কালাম জানান, ওই তরুণীর বাড়ি পলাশে। আসামিদের বাড়ি রায়পুরায়। আর ঘটনা ঘটেছে শিবপুরে। এই ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে ওই তরুণী মামলা করেছেন। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে রাতেই অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর অভিযুক্ত পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।