Thank you for trying Sticky AMP!!

বৃদ্ধের মৃত্যুর পর মিরপুরে তিন ভবন লকডাউন

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের বি ব্লকের একটি বাড়িতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের (৬৮) মৃত্যুর পর আজ শনিবার ওই বাড়িসহ তিনটি ছয়তলা ভবন লকডাউন করে পাহারা বসিয়েছে পুলিশ। যে ব্যক্তি মারা গেছেন, তাঁর ছেলে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে মিরপুরে ঢাকা কর্মাস কলেজের পেছনে শিক্ষকদের কোয়ার্টারে থাকেন। সেই ফ্ল্যাটে থাকা তাঁর পরিবারকে (সঙ্গনিরোধ) কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।

আজ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ওই সব ভবনে জরুরি প্রয়োজনে একজনের বেশি কাউকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে আনতে পারবেন। তা ছাড়া লকডাউনে থাকা ব্যক্তিদের প্রয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

পল্লবী থানার পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তি অগ্রণী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। গত ২৬ মার্চ ওই ব্যক্তির প্রচণ্ড হাঁচি শুরু হয়। তখন তাঁকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ওষুধপত্র দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাসায় আসার পর তাঁর হাঁচি বাড়তে থাকে। এরপর তাঁর শরীরে জ্বর দেখা দেয়। ২ এপ্রিল অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ওই হাসপাতালে গত শুক্রবার দুপুরে তিনি মারা যান। তাঁকে খিলগাঁওয়ের তালতলা কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, বৃদ্ধের ছেলে তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে মিরপুর কমার্স কলেজের পেছনে শিক্ষকদের কোয়ার্টারে থাকতেন। বৃদ্ধের ছেলে ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষক। বাবাকে দেখতে তিনি তাঁর স্ত্রী–সন্তানদের নিয়ে কোয়ার্টারে এসে থাকতেন।

শাহ আলী থানার ওসি সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, কমার্স কলেজের শিক্ষক মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনে তাঁর বাবার বাসায় কোয়ারেন্টিনে আছেন। সামাজিক সংক্রমণ প্রতিরোধে কোয়ার্টারে থাকা তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে পুলিশ নজরদারি করছে।