Thank you for trying Sticky AMP!!

বৃষ্টি ছাড়াই বাড়ছে সীমান্ত নদী লোভার পানি

বৃষ্টি ছাড়াই বাড়ছে সিলেটের অন্যতম সীমান্ত নদী লোভার পানি। বিপৎসীমার ওপর থাকা কুশিয়ারার ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি কিছু বেড়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য নদ-নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে পানি কমছিল। আজ মঙ্গলবার দৈনিক পানির স্তর-সম্পর্কিত তথ্য থেকে এ কথা জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার।

লোভা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত থেকে নেমে আসা একটি নদী। সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লোভাছড়া দিয়ে নদীটি প্রবাহিত হয়ে কানাইঘাট এলাকায় সুরমা নদীতে বিলীন হয়েছে। বর্ষাকালে সুরমার উৎস ধরা হয় লোভা নদীর মিলনস্থলকে। পাউবো অন্যান্য নদ-নদীর মতো লোভা ও সুরমার মিলনস্থলে পানির প্রবাহ প্রতিদিন পাঁচবার পরিমাপ করে।

পাউবো জানিয়েছে, বৃষ্টি ছাড়াই কুশিয়ারার উৎসমুখের অমলসিদে পানি বাড়ছিল গত রোববার রাত থেকে। আর গতকাল সোমবার বিকেল থেকে লোভার পানিও বাড়তে থাকে। রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টি না হওয়ায় পাউবোর দৈনিক পানির স্তর-সম্পর্কিত তথ্যের (ডেইলি ওয়াটার লেভেল ডেটা) ‘রেইনফল’ অংশে ‘শূন্য’ উল্লেখ রয়েছে। এর পরও দুটো নদীর উৎসমুখে পানি বাড়ছে।

আজ সকাল নয়টার তথ্য অনুযায়ী, লোভা নদীর পানি ১৩ দশমিক ১৩ মিটার থেকে বেড়ে ১৩ দশমিক ১৫ মিটারে দাঁড়িয়েছে। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সেখানে ১৩ দশমিক ১০ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল পানি। লোভার পানি বাড়লেও সুরমা নদীর কানাইঘাট ও সিলেট শহর পয়েন্টে পানি কমছিল। দুটো পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ সকালে কানাইঘাটে ১১ দশমিক ৯৯ মিটার ও সিলেট শহর পয়েন্টে ৯ দশমিক ৬১ মিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে কুশিয়ারা নদীর অমলসিদ পয়েন্টে গতকাল সন্ধ্যায় ১৪ দশমিক ৯১ মিটার থেকে বেড়ে আজ সকালে ১৪ দশমিক ৯৬ মিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ নদীর চারটি পয়েন্টের মধ্যে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে শুধু ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে। সেখানেও বাড়ছে পানি। গতকাল রাতে ৯ দশমিক ৭৭ মিটার থেকে বেড়ে শনিবার সকালে ৯ দশমিক ৭৯ মিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ মিটার। একই সময়ে কুশিয়ারার শেওলা ও শেরপুর পয়েন্টে পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

পাউবোর নদ-নদী পর্যবেক্ষকেরা বলেছেন, সুরমা-কুশিয়ারা সিলেট অঞ্চলের দীর্ঘতম নদী। এ দুটো নদীর উৎসমুখে পানি বাড়তে থাকলে পুরো নদীসহ শাখা নদ-নদীগুলোর পানির প্রবাহ যেকোনো সময় পরিবর্তিত হতে পারে।