Thank you for trying Sticky AMP!!

বেতাগীতে হামলায় আহত চেয়ারম্যানের অবস্থা স্থিতিশীল, আটক ২

হামলার পর গুরুতর আহত অবস্থায় চেয়ারম্যান ইমাম হাসানকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়

বরগুনার বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসানের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) তাঁর অস্ত্রোপচার হওয়ার পর তাঁকে শয্যায় দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি কিছু খেতে পারছেন না। স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে।

ইমাম হাসানের সঙ্গে ঢাকায় অবস্থান করা তাঁর ছোট ভাই রিয়াজুল কবির আজ রোববার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার সকালে অস্ত্রোপচার হওয়ার পর তাঁর (ইমাম হাসান) শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। আজ সকালে জখম হওয়ায় স্থানে ব্যথা শুরু হয়েছিল। ওষুধ দেওয়ার পর ব্যথা কমেছে।

এদিকে হামলার দুদিন পরও কোনো মামলা হয়নি। চেয়ারম্যানের স্বজনদের দাবি, ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ শরীফের নেতৃত্বে সাত থেকে আটজনের একটি দল ধারালো অস্ত্র নিয়ে ইমাম হাসানের ওপর এই বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। ঘটনার পর থেকে ইউসুফ শরীফ পলাতক।

তবে পুলিশ হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে। তাঁরা হলেন ওই ইউনিয়নের আবদুর রহিমের ছেলে রফিকুল ইসলাম ও আলমগীর হাওলাদারের ছেলে আবু তালেব। বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই দুজনকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Also Read: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার প্রতিবাদে বাস বন্ধ

এদিকে চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনায় আগামীকাল সোমবার থেকে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জেলা যুবলীগ। সংগঠনটির সভাপতি কামরুল আহসান জানান, কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি পেশ, বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার দুপুরে ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যান বর্তমান চেয়ারম্যান ইমাম হাসান ও সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ শরীফ। অনুষ্ঠানে খাওয়া শেষ করে আগেই বিয়েবাড়ি থেকে চলে যান ইউসুফ। এর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর বেলা দুইটার দিকে বিয়েবাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে ফিরছিলেন ইমাম হাসান। কিছু দূর যেতেই আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা ইমাম হাসানের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে কোপাতে শুরু করে। আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ওই দিন রাতেই ইউপির চেয়ারম্যানকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।

চেয়ারম্যানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাঁর ডান পায়ের রগ কেটে গেছে। বাঁ পায়ের হাড় কেটে পা ঝুলে গেছে। গুরুতর জখম হয়েছে ডান হাতও।

Also Read: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম, ঝুলে আছে পা