Thank you for trying Sticky AMP!!

ভাঙাচোরা সড়ক, দুর্ভোগ চরমে

নর্দমার পানির স্রোতে ভেঙে গেছে সড়ক। ভাঙা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। গতকাল বিকেলে সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের পাঠানটুলা এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো

পিচ-খোয়া উঠে স্থানে স্থানে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। সৃষ্টি হওয়া ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে যানবাহন চলছে এঁকেবেঁকে। ধীরগতিতে যান চলায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনাও ঘটছে। চার মাস ধরে এ অবস্থা চলছে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের নগরের অভ্যন্তরের তিনটি অংশে।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের মদিনা মার্কেট, পাঠানটুলা ও লন্ডনী রোড এলাকার অংশ ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। এসব অংশে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ শত শত যানবাহন চলছে থেমে থেমে। সকালের বৃষ্টিতে খানাখন্দে পানি জমে থাকায় যানবাহন চলাচলের সময় পানি ছিটকে উঠছে। এতে বেশ কয়েকজন পথচারীর কাপড় নোংরা হতে দেখা গেছে।

মদিনা মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের তিনটি এলাকা বেহাল থাকলেও তা সংস্কারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কোনো উদ্যোগই নিচ্ছেন না। অথচ এ সড়কটি দিয়ে সুনামগঞ্জ জেলা সদর ও উপজেলাগুলোতে যাতায়াতের পাশাপাশি সিলেট সদর ও নগরের কয়েক লাখ মানুষ চলাচল করে। যাত্রীদের ভোগান্তি নিয়ে চলতে হচ্ছে।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, সড়কের তিনটি এলাকার অন্তত আধা কিলোমিটার অংশ বিধ্বস্ত অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে মদিনা মার্কেটের লতিফ মঞ্জিল এলাকার সন্মুখভাগ ও পাঠানটুলা এলাকার সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারের সামনের অংশ বিধ্বস্ত হয়েছে মূলত সেখানকার দুটি নর্দমা থেকে সরাসরি সড়কে পানি আসায়। নর্দমার মধ্যে স্থাপিত বেষ্টনীর ভাঙা অংশ মেরামত করা না গেলে স্থায়ী সমাধান আসবে না।

গতকাল সড়কের আশপাশের এলাকার আটজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, নগরের যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়েছে, এর মধ্যে এ সড়কটি অন্যতম। এ সড়কের পাশে পাঠানটুলা দ্বিপাক্ষিক উচ্চবিদ্যালয়, স্কলার্স হোমসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের অবস্থান। মদিনা মার্কেট এলাকায় একটি বড় হাটও রয়েছে। এ ছাড়া সড়কটি দিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডেও যেতে হয়।

গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে পাঠানটুলা এলাকার পথচারী সাবিনা বেগম ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘রাস্তার পাশের ফুটপাত দিয়ে হাঁটছিলাম। হঠাৎ করেই একটি প্রাইভেট কার এসে আমার পাশ দিয়ে চলে যাওয়ার সময় খানাখন্দে জমে থাকা ময়লা পানি ছিটকে আমার কাপড়চোপড় নোংরা হয়ে গেছে। যদি সড়কটি ভাঙাচোরা না থাকত, তাহলে পথচারীদের এমন দুর্ভোগ সহ্য করতে হতো না।’

সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর বলেন, সড়কের ভাঙাচোরা অংশ নগরের অভ্যন্তরে হলেও এটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) আওতাধীন। তাই সড়কটি সংস্কারে তাঁদের শিগগিরই অনুরোধ জানানো হবে।

তবে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য একাধিকবার ফোন করে সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়ার মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।