Thank you for trying Sticky AMP!!

ভারতে ট্রাকভর্তি মাছ ছিনতাই, তদন্তের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পাঠানো মাছের চালানের কিছু অংশ ভারতের আগরতলায় সম্প্রতি ছিনতাই হয়েছে। ছিনতাইয়ের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও টাকা ফেরতের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মাছ রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা। আজ বৃহস্পতিবার আখাউড়া স্থলবন্দরে তাঁরা এ আয়োজন করেন। ছিনতাইয়ের ঘটনায় ১৩ জুলাই থেকে এ বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়, ৯ জুলাই সকালে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ২০ ট্রাক মাছ রপ্তানি হয়। মাছগুলো আসাম রাজ্যের শিলচরে যাওয়ার কথা। আগরতলার স্থলবন্দরের কাছাকাছি এলাকা রামনগর থেকে ২০ ট্রাক মাছের মধ্যে ১২৭ বাক্স ভর্তি ৬ হাজার ৩৫০ কেজি মাছসহ একটি ট্রাক ছিনতাই হয়। ওই ট্রাকে ১৫ হাজার ৮৭৫ ডলারের মাছ ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ত্রিপুরার ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) স্থানীয় কিছু নেতা মাছ রপ্তানি থেকে অনৈতিক সুবিধা চাইছেন। না পেয়ে বাধা দিচ্ছেন। মাছ ছিনতাইয়ের ঘটনাটি সুষ্ঠুভাবে তদন্তসহ মাছের টাকা ফেরত এবং ভবিষ্যতে মাছের ট্রাক ছিনতাইয়ের কবলে যেন না পড়ে, সেই দাবি সংবাদ সম্মেলন করেন তাঁরা।

বক্তারা আরও বলেন, ভারতের জনপ্রতিনিধিকে (এমএলএ) মুঠোফানে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এরপরও তাঁরা এর সুষ্ঠু কোনো সমাধান দেননি। সর্বশেষ ভারত থেকে আসা এক চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়, দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে বাংলাদেশের মাছ রপ্তানিতে কোনো আপত্তি নেই। তবে সেখানকার ব্যবসায়ীরা বলেন, একটি প্রভাবশালী মহল মাছের আড়তদারদের হুমকি দিয়েছে যে আসামের শিবচর ও করিগমঞ্জে যেন আর কোনো মাছ না পাঠানো হয়।

মাছ রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি ও ছিনতাই হওয়া মাছের মালিক ইদন মিয়া বলেন, মাছের টাকা সেখানকার আমদানিকারককে বুঝিয়ে দিতে হবে। ট্রাক ছিনতাইয়ের জন্য বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আর ভবিষ্যতে মাছ নিয়ে কোনো ঝামেলা করবে না, এই মর্মে তাঁদের নিশ্চয়তা দিতে হবে। তা না হলে তাঁরা মাছ রপ্তানি বন্ধ করে দেবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন আখাউড়া মাছ রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজির হোসেন, আখাউড়া আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোয়িশেনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান খলিফা প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম বলেন, এই সমস্যা সমাধান না হলে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে চিঠি দেওয়া হবে। চিঠির পরও কোনো সাড়া না পেলে তাঁরা মাছ রপ্তানি একেবারে বন্ধ করে দেবেন।