Thank you for trying Sticky AMP!!

ভালুকার বানর-হনুমানকে খেতে দেওয়া হবে কলা-বিস্কুট

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি বনের বানর ও হনুমানকে খাবার হিসেবে কলা, বিস্কুট ও গম দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথম আলো ফাইল ছবি

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি বনের মধ্যে বসবাস করা বানর ও হনুমানকে খাবার হিসেবে কলা, বিস্কুট ও গম দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

এতে হবিরবাড়ি ইউপির চেয়ারম্যান তোফায়েল আহম্মেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ভালুকা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন, উপজেলা বন সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি হাজী আবুল কাশেম, হবিরবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নিজাম উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার হবিরবাড়ি বনের মধ্যে বসবাস করা বানর ও হনুমানগুলোর তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দেয়। ক্ষুধার কারণে বনের প্রাণীগুলো আশপাশের বাড়িতে হানা দেয়। বিষয়টি দেখার পর প্রায় দুই মাস ধরে এদের খাবার হিসেবে কলা-বিস্কুট দেওয়া হচ্ছে। তবে তাঁর একার পক্ষে সারা বছর খাবার দেওয়া সম্ভব নয়। প্রাণীগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সারা বছর এই বনে খাবার দিতে হবে। কারণ, হবিরবাড়ি বনে গজারি গাছ ছাড়া অন্য কোনো ধরনের ফলের গাছ নেই।

জানতে চাইলে রেঞ্জ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, হবিরবাড়ি বনে প্রায় ১ হাজার বানর ও হনুমান আছে। এই প্রাণীদের খাবারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। গত প্রায় দুই মাস ধরে ওই বনের প্রাণীদের খাবার দিচ্ছেন স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম। আজকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে আরও বেশ কয়েকজনকে নিয়ে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সবার সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বন্যপ্রাণীদের খাবার সরবরাহ করা সম্ভব। আগামী বর্ষার শুরুতে এই বনে গজারি গাছের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন জাতের ফলজ গাছের চারা রোপণ করা হবে।

চেয়ারম্যান তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, সবার সহযোগিতায় প্রতিদিন বনের বানর-হনুমানকে খাদ্য হিসেবে কলা, গম, ও বিস্কুট দেওয়া হবে।