Thank you for trying Sticky AMP!!

ভাসানচর থেকে পালানো ১১ রোহিঙ্গাকে উখিয়ার ক্যাম্পে আটক

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবির

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে স্বেচ্ছায় নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়শিবিরে গিয়েছিল দুটি রোহিঙ্গা পরিবার। ভাসানচর থেকে পালিয়ে আবার কক্সবাজারের উখিয়ার মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসেছে তারা। এমন ১১ রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুকে আটক করার কথা জানিয়েছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা।

এই ১১ জন হলেন আয়াত উল্লাহ (৪২), তাঁর স্ত্রী মিনারা বেগম (৩৭), তাঁদের মেয়ে দিল খায়াজ (১৬), ইমতিয়াজ বিবি (৯), আরেফা বেগম (৩) ও আয়েশা ছিদ্দিকা (৪ মাস); দ্বীন মোহাম্মদ (৩৬), তাঁর স্ত্রী সামছুন নাহার (৩০), তাঁদের মেয়ে মোকারমা বেগম (৪), রোকিয়া বিবি (২) ও ছেলে জিয়াবত উল্লাহ (১৪)। সবাই ভাসানচর আশ্রয়শিবিরের ৫৪ নম্বর ক্লাস্টারের ১৪ নম্বর ঘরের বাসিন্দা ছিলেন।

গতকাল শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে উখিয়ার মধুরছড়া ক্যাম্প-৩-এর ডি-৩ ব্লকের আমির হোসেনের বসতঘর থেকে এই ১১ জনকে আটক করা হয়। গতকাল রাত ১০টার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার-১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার নাঈমুল হক।

আটক রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে এপিবিএন কর্মকর্তা বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে দুটি পরিবার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভাসানচরে যায়। সেখানে কিছুদিন থাকার পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেখানে চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই বলে দাবি তাদের। এ ছাড়া কাজকর্মের তেমন সুযোগ-সুবিধা নেই। ভাসানচরে সাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকার মাঝিদের কাছে কান্নাকাটি করে দুই হাজার টাকা ও সোনার নাকফুল দিয়ে তারা নোয়াখালীর উপকূলে পৌঁছায়। সেখান থেকে বাসে করে গত বৃহস্পতিবার রাত আটটায় উখিয়ার কুতুপালং বাসস্টেশনে আসে। পরে ক্যাম্পে ঢুকে পড়ে।

কক্সবাজার-১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক বলেন, আটক দুই পরিবারের ১১ রোহিঙ্গাকে সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সহকারী ক্যাম্প (ইনচার্জ) সিআইসির কার্যালয় পাঠানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত বছরের ৪ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ছয় দফায় প্রায় ১৮ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে। এর আগে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় উদ্ধার ৩০৬ রোহিঙ্গাও সেখানে বসবাস করছে। চলতি বছরের বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে গেলে লক্ষ্য অনুযায়ী এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়ার কাজ পুরোদমে শুরু করার কথা রয়েছে।