Thank you for trying Sticky AMP!!

ভাস্কর্যে জাতীয় ফল 'কাঁঠাল'

জাতীয় ফল কাঁঠালের ভিন্ন স্বাদের জন্য গাজীপুরের শ্রীপুর বিখ্যাত। স্থানীয় ঐতিহ্য হিসেবে এই কাঁঠাল উঠে এসেছে উপজেলা ব্র্যান্ডিংয়ে। প্রাতিষ্ঠানিক স্লোগান ‘সবুজে শ্যামলে শ্রীপুর, মিষ্টি কাঁঠালে ভরপুর’-এ আছে কাঁঠালের কথা। এই ঐতিহ্য সমুন্নত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনা আকতারের উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে ‘শ্রীপুরের গৌরব কাঁঠাল’ ভাস্কর্যটি।

আজ মঙ্গলবার সকালে ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার এ কে এম আলী আজম। সঙ্গে ছিলেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো ভাস্কর্য পেল শ্রীপুর।

উদ্বোধন শেষে আলী আজম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটি অত্যন্ত চমৎকার উদ্যোগ। উপজেলা পর্যায়ে এ জাতীয় উদ্যোগ দেখে অন্য উপজেলাগুলো উৎসাহিত হবে। তারাও এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করবে বলে মনে করি। এসব ভাস্কর্য মানুষের ভেতরের চেতনাকে নতুন করে জাগিয়ে দেয়। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ভাস্কর্যগুলো দেওয়া হয় মানুষকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য। শ্রীপুরে যত মানুষ আসবে, তারা এ ভাস্কর্য দেখে বুঝে যাবে, এখানকার কাঁঠালের ঐতিহ্য আছে।’

ভাস্কর্যের উদ্যোক্তা ইউএনও রেহেনা আকতার বলেন, শ্রীপুরে নিযুক্ত হয়ে কাঁঠালের ভিন্ন স্বাদ ও রং দেখেই তিনি এর বিশেষত্ব বুঝতে পেরেছেন। তখন থেকেই কাঁঠালের ভাস্কর্য তৈরি করে স্থানীয় এই ঐতিহ্যকে দেশজুড়ে পরিচিত করার স্বপ্ন দেখেন। পরে তাঁর উদ্যোগে ও স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় তৈরি হয় ভাস্কর্যটি। তিনি বলেন, এই এলাকায় উৎপাদিত কাঁঠালের ওপর একটি শিল্প গড়ে উঠতে পারে। প্রক্রিয়াজাত করে এর থেকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য উৎপাদন করে বাজারজাত করা সম্ভব।

শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের মূল ফটকে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে সুউচ্চ পাটাতনের ওপর বিশাল আকারের চারটি কাঁঠালের ভাস্কর্য। সবুজ পাতা ও হলুদ রঙের সমন্বয়ে তৈরি ভাস্কর্যটি গর্বের সঙ্গে জানান দিচ্ছে স্থানীয় ঐতিহ্যের জাতীয় ফলের অস্তিত্ব। ভাস্কর্যটির ভাস্কর মিলন রব। তিনি বলেন, এর পাটাতনে টেরাকোটার কাজ চলছে। এতে স্থানীয় অন্যান্য ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলা হবে।