ভিক্ষুকের জমানো টাকা ও মোস্তফার সততা
আনোয়ারা খাতুনের (৬৫) বাড়ি মেহেরপুর গাংনী উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রাম। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তিনি ভিক্ষা করেই জীবিকা নির্বাহ করতেন। ছিলেন বাকশ্রবণ প্রতিবন্ধী। কখনো গাংনী শহরে আবার কখনো পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা শহরে থাকতেন। গত ২২ ডিসেম্বর মিরপুর রেলস্টেশনের কাছে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হন তিনি। লাশ পরিবারের লোকজন নিয়ে গ্রামে দাফন করে।
তবে তিনি কিছু টাকা জমা রেখে গিয়েছিলেন। তা জানত না কেউ। নিজ দায়িত্বে গচ্ছিত টাকা আনোয়ারার মেয়ের হাতে তুলে দিয়েছেন মিরপুর শহরের বাসিন্দা ও ফাস্ট ফুডের দোকানদার মোস্তফা মল্লিক। আজ শুক্রবার দুপুরে মেয়ে শিরিনা আকতারের হাতে টাকা তুলে দেন তিনি।
মোস্তফা মল্লিকের ভাষ্যমতে, প্রায় আট মাস আগে বাকশ্রবণ প্রতিবন্ধী ওই বৃদ্ধা দোকানের সামনে আসেন। একপর্যায়ে দোকানের পাশেই রাতে থাকতে শুরু করেন। সারা দিন শহরে ভিক্ষা করে রাতে এসে এখানে থাকতেন। দোকানের খাবার তাঁকে দেওয়া হতো। আনোয়ারা ভিক্ষা শেষে সারা দিন যে টাকা পেতেন, সেটা রাখার জন্য অনুরোধ করেন। ছোট ছোট পুঁটলি করে গচ্ছিত রাখতেন। তিনি ইশারায় বলতেন, এই টাকা তাঁর নিজের কাছে থাকলে লোকজন কেড়ে নিতে পারে। এ জন্য জমা রাখতেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর পরিবারের কাছে টাকাগুলো পৌঁছে দিতে তিনি (মোস্তফা) যোগাযোগ করেন।
আজ আনোয়ারার মেয়ে শিরিনা আকতার মিরপুরে আসেন। তাঁর হাতেই পুঁটলিগুলো তুলে দেন। মেয়ের সামনেই পুঁটলিগুলো খুলে গণনা করে দেখতে পান এক টাকা, দুই টাকা, দশ টাকা করে সব মিলিয়ে ১৪ হাজার ৯০০ টাকা হয়।
মোস্তফা মল্লিক বলেন, আনোয়ারার আমানত তাঁর মেয়ের হাতে তুলে দিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
আরও পড়ুন
-
নারী আম্পায়ারের ম্যাচ আসলেই কি খেলতে চাননি মুশফিক–মাহমুদউল্লাহরা
-
রাফায় এক পরিবারের ৯ জন নিহত, শুধু বেঁচে রইল মেয়েশিশুটি
-
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম আবারও বিএসইসি চেয়ারম্যান, যেমন ছিল তাঁর আগের ৪ বছর
-
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ
-
ইরান-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে যে বদল এসেছে