Thank you for trying Sticky AMP!!

ভেড়ানোর জন্য ঘাট নেই, বসে আছে পাঁচটি ফেরি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার ৩ নম্বর ফেরিঘাট গতকাল বিকেল পর্যন্ত চালু হয়নি। গত বৃহস্পতিবার ফেরিঘাট সংযোগ সড়ক ও পন্টুনের সংযোগ ভাঙনে তলিয়ে যাওয়ায় ঘাটটি বন্ধ হয়ে যায়। বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ঘাট চালুর চেষ্টা করছে। প্রথম আলো

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার ৩ নম্বর ফেরিঘাট গতকাল রোববার বিকেল পর্যন্ত চালু হয়নি। বর্তমানে ছয়টির মধ্যে তিনটি ঘাট চালু রয়েছে। পাড়ে ভেড়ানোর জায়গা না থাকায় পাঁচটি ফেরি বসিয়ে রাখা হয়েছে।

ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বুধবার বিকেল থেকে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এর পাশাপাশি বাতাস থাকায় নদী উত্তাল হয়ে উঠে। ভাঙতে শুরু করে নদীর পাড় ও তীরবর্তী এলাকা। বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস বইতে থাকায় ভাঙনের মাত্রা বেড়ে যায়। এ অবস্থায় তিন নম্বর ঘাটের সংযোগ সড়কের মাথা ভেঙে বিলীন হওয়ায় সন্ধ্যার দিকে সড়ক থেকে পন্টুনের আলাদা হয়ে যায়। ফলে কর্তৃপক্ষ ঘাটটি বন্ধ করে দেয়। 

৪,৫ ও ৬ নম্বর ঘাট দিয়ে ফেরিতে যানবাহন ওঠানামা করছে। এর মধ্যে ৬ নম্বর ঘাটটি শুধুমাত্র ছোট ফেরির জন্য। এর আগে ভাঙন তীব্র হওয়ায় ৪ অক্টোবর ১ নম্বর এবং পরদিন ৫ অক্টোবর ২ নম্বর ঘাটের সংযোগ সড়ক বিলীন হওয়ায় ঘাট দুটি বন্ধ হয়ে যায়। 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় জানায়, রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ১৭টি ফেরি রয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি ফেরি চালু আছে। কিন্তু এসব ফেরি ভেড়ানোর জন্য দৌলতদিয়ায় ঘাট নেই। তাই এখন ছোট–বড় মিলে ১২টি ফেরি চালু রাখা হয়েছে।

এদিকে ৩ নম্বর ঘাটে ভাঙন ঠেকাতে ও ঘাট চালু করতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) গত শুক্রবার থেকে ভাঙনকবলিত এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত বালুর বস্তা ফেলা অব্যাহত ছিল। কিন্তু যতই বস্তা ফেলা হচ্ছে, তা নদীর তলদেশে চলে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত বালুভর্তি জিও ব্যাগ জেগে না ওঠায় ঘাট চালু করা যাচ্ছে না। বিআইডব্লিউটিএর উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, ৩ নম্বর ঘাটে পানির গভীরতা অনেক। শনিবার গভীরতা ছিল প্রায় ৩৮ ফুট। বালুভর্তি বস্তা ফেলার পরও গতকাল দুপুরে সেখানে পানির গভীরতা দাঁড়ায় প্রায় ২৩ ফুটে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক মাহাবুব আলী সরদার বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে প্রায় ১৭টি ফেরি রয়েছে। সব ফেরি চালু করতে হলে সব ঘাট (ছয়টি) চালু থাকা দরকার। মাত্র তিনটি ঘাট দিয়ে সব ফেরি চালু রাখা সম্ভব না হওয়ায় পাঁচটি ফেরি বসিয়ে রাখা হয়েছে। এতে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে।