Thank you for trying Sticky AMP!!

ভৈরবে কোভিড থেকে সুস্থ ৯১ শতাংশ

প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সুস্থতার হার বাড়ছে। আজ বুধবার পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৯১ শতাংশ সুস্থতা ফিরে পেয়েছেন। আবার এর মধ্যে ৬৮ শতাংশ সুস্থ হয়েছেন নিজেদের বাড়িতে থেকেই। সুস্থতার এই হারে বেশ স্বস্তিতে আছে প্রতিরোধ কমিটি।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ করোনার হটস্পষ্ট (ঝুঁকিপূর্ণ) ঘোষিত জেলা। আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতা—তিন দিক দিয়েই জেলায় ভৈরব এগিয়ে। এই উপজেলায় মোট আক্রান্ত ৫৪৬। মারা গেছেন ১৪ জন। আক্রান্ত ও মৃত্যুর এই তথ্য আসে ২ হাজার ৯০৫ জনের পরীক্ষা থেকে। জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে শুরু করে। আশা–জাগানিয়া পরিবর্তন আসে সুস্থতার পরিসংখ্যানেও। বর্তমানে কেবল আক্রান্ত মানুষের ৯ শতাংশ সুস্থতা ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। এখন ভৈরব আইসোলেশন ইউনিটে হাতে গোনা কয়েকজন চিকিৎসাধীন। কয়েকজন আছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও ঢাকার কয়েকটি হাসপাতালে। সব মিলিয়ে আইসোলেশন ইউনিটসহ বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেওয়া মানুষের সংখ্যা ১৭০। বাকি ৩৭৬ জনের ভরসা ছিল নিজেদের বাড়ি।

শুধু সুস্থতার দিক থেকেই নয়, কমেছে আক্রান্ত হওয়ার পরিমাণও। চলতি মাসের প্রথম ২১ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ জন। বিপরীতে জুনে আক্রান্ত ছিল ৩৯৩, যা দিনে গড় ছিল ১৩ জনের ওপরে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব। সুস্থতার পরিসংখ্যানে খুশি হলেও ফের সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কায় শঙ্কিত রয়েছেন।

বুলবুল আহমেদ বলেন, সুস্থতা বাড়া ও সংক্রমণ কমার পেছনে মূল কারণ নমুনা নেই। পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজনের মানসিকতার পরিবর্তন হয়ে গেছে। বিশেষ করে করোনাভীতি দূর হয়ে গেছে এবং অনাগ্রহ এসেছে নমুনা দিতে যাওয়ার মধ্যেও। করোনা প্রতিরোধে স্থানীয় লোকজনের বড় ধরনের অসহযোগিতা আর সব কটি সামাজিক বলয় ভেঙে পড়েছে। ভয়টা এখানেই। বাড়তি দুশ্চিন্তা কোরবানির হাট–পরবর্তী ভয়াবহতা নিয়ে।