Thank you for trying Sticky AMP!!

ভৈরবে টানা তিন দিন করোনা শনাক্ত শূন্য, নমুনা সংগ্রহ কম

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় টানা তিন দিনের নমুনা পরীক্ষায় কারও করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি। গত শুক্র, শনি ও রোববারের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন আজ বুধবার প্রকাশ করে এ তথ্য জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ। তিনি উপজেলার করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব। তবে উপজেলায় নমুনা সংগ্রহের হার কমে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ জানান, গত শুক্রবার (২৮ আগস্ট) ৫ জন, শনিবার (২৯ আগস্ট) ১৪ জন ও রোববার (৩০ আগস্ট) ৬ জন টানা তিন দিনে মোট ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় এবং সবগুলো পরীক্ষার প্রতিবেদন নেগেটিভ এসেছে। এই সময়ে কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেনি। তথ্য উপস্থাপনের সময় সংক্রমণ পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘শূন্য, শূন্য, শূন্য’।

বুলবুল আহমেদ বলেন, আক্রান্ত, সুস্থতা ও মৃত্যু—এই তিন সূচকে দুই মাস ধরে উন্নতির ধারা বজায় রয়েছে। প্রত্যাশার চেয়েও সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এটা বেশ ভালো লাগে। তবে নমুনা সংগ্রহের নিম্নমুখিতা দেখলে এই ভালো লাগাটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। এত কম নমুনা দিয়ে সামাজিক সংক্রমণের প্রকৃত পরিস্থিতি বোঝা মুশকিল।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ভৈরবে এখন সংক্রমণ সংখ্যা ৬০৭। নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৩ হাজার ৩১৬ জনের। সেখানে আক্রান্তের হার দিন দিন কমে আসছে। পুরোনো নমুনাগুলোর পরীক্ষা থেকে সবশেষ গত ২৯ আগস্ট দেওয়া প্রতিবেদনে ৩১ জন শনাক্ত বলে জানানো হয়। ওই সময় ২৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আগস্ট মাসে নমুনার বিপরীতে আক্রান্তের হার ছিল ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ। দিনে আক্রান্ত ছিল গড়ে একজনের বেশি। জুন মাসে গড়ে আক্রান্ত ছিল ১৭ জন। জুলাই মাসে তা অর্ধেকে নেমে আসে।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ভৈরবে কোভিড–১৯–এ আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থতার হার বেড়ে ৯২ দশমিক ৫৮ শতাংশ হয়েছে। এর মধ্যে বাড়িতে থেকে সুস্থতার হার ৮২ শতাংশ। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। সবশেষ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে মাস দুয়েক আগে।
তবে নমুনা সংগ্রহ কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তাদের ধারণা, লোকজন নমুনা দিতে আগ্রহী হচ্ছে না বলে সামাজিক সংক্রমণের প্রকৃত চিত্র জানা যাচ্ছে না।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের একটি নির্দেশনা হলো উপসর্গ ছাড়া নমুনা নেওয়া যাবে না। এই নির্দেশনার পর নমুনার সংখ্যা কমেছে। পরে ফি যুক্ত করার পর সমস্যাটি আরও বড় হয়। এখন ২০০ টাকা থেকে কমিয়ে ১০০ টাকা ফি নির্ধারণ করার পরও নমুনা বাড়ছে না।