Thank you for trying Sticky AMP!!

ভোমরা দিয়ে ৩ দিন ধরে আসছে না ভারতের পেঁয়াজ

পেঁয়াজ

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে গত সোমবার থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রেখেছে ভারত সরকার। এর ফলে গত তিন ধরে ভোমরা বন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে পেঁয়াজভর্তি ৩০০ ট্রাক। এই সময়ে এ বন্দর দিয়ে ভারতের পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসেনি।

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই সোমবার থেকে হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ে ভারত সরকার। ভারতীয় ঘোজাডাঙ্গা কাস্টমস ও সিঅ্যান্ডএফ ওয়েল ফেয়ার কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখার ব্যাপারে ভোমরা কাস্টমস ও সিঅ্যান্ডএফ নেতাদের লিখিতভাবে কিছু জানায়নি। ভারতের পাশে বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় সব মিলিয়ে প্রায় ৬০০ পেঁয়াজভর্তি ট্রাক আছে। ১-২ দিনের মধ্যে এসব পেঁয়াজ আমদানি করতে না পারলে অধিকাংশই নষ্ট হয়ে যাবে এবং এতে ব্যবসায়ীদের ৪০-৫০ কোটি টাকা লোকসান হবে বলে তিনি দাবি করেন।

হঠাৎ করে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমদানিকারকদের গাড়িপ্রতি ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতি হতে পারে
মহসিন হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক, ভোমরা বন্দর

বুধবার বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে ভোমরা বন্দরে দেখা যায়, ভারত থেকে পেঁয়াজবাহী কোনো ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকেনি। দুপুর ১২টার দিকে কয়েকটি পাথরবোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে ঢুকতে দেখা যায়।

ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কান্তি দত্ত মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পেঁয়াজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম হয়েছে। কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় পেঁয়াজের মূল্য বাড়ানোর জন্য সাময়িকভাবে ভারতের সরকার রপ্তানি বন্ধ রেখেছে বলে তাঁর ধারণা। ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় পেঁয়াজভর্তি ৩০০ ট্রাক আছে বলে তিনি জানান।
ভোমরা বন্দরের তত্ত্বাবধায়ক মহসিন হোসেন বলেন, কোনো ঘোষণা ছাড়াই সোমবার থেকে পেঁয়াজভর্তি ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকেনি। তাঁরা এ ব্যাপারে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। হঠাৎ করে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকার লোকসানে পড়তে পারেন। আমদানিকারকদের গাড়িপ্রতি ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতি হতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।