Thank you for trying Sticky AMP!!

মঠবাড়িয়ায় মাদক বিক্রির টাকার ভাগাভাগি নিয়ে খুন হন আল আমিন: পুলিশ

নিহত কলেজছাত্র আল আমিন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর ভেজকী গ্রামে ফসলের মাঠ থেকে আল আমিন (২০) নামের নিখোঁজ এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধারের পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনার তিন দিন পর হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত চার যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চার যুবককে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, মাদক সেবন নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছয় বন্ধু মিলে আল আমিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

নিহত আল আমিন উপজেলার উত্তর ভেজকী গ্রামের সিদ্দিক আকনের ছেলে। তিনি পাশের বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান কলেজে সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

চার যুবককে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, মাদক সেবন নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছয় বন্ধু মিলে আল আমিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ জেড এম মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘গত রোববার রাতে উপজেলার উত্তর ভেজকী গ্রামের ফসলের মাঠ থেকে কলেজছাত্র আল আমিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর আমরা প্রেম, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও মাদক ব্যবসা—এই তিন বিষয় অনুমানে নিয়ে হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ শুরু করি। গত বুধবার রাতে চার যুবককে আটকের পর হত্যাকাণ্ডে তাঁদের সম্পৃক্ততা পাই। আটক ওই চার যুবককে আল আমিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পাশাপাশি তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল আহসানের আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার। আগামী রোববার রিমান্ডের আবেদনের শুনানি করবেন বিচারক।’

গ্রেপ্তার যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল আহসানের আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার। আগামী রোববার রিমান্ডের আবেদনের শুনানি করবেন বিচারক।
এ জেড এম মাসুদুজ্জামান, মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)

গ্রেপ্তার যুবকেরা হলেন উপজেলার উত্তর ভেজকী গ্রামের ওয়ারেস খানের ছেলে আল আমিন খান (২১), একই গ্রামের মনু খানের ছেলে আল আমিন (২৭), মৃত গফফার সরদারের ছেলে হুমায়ূন সরদার (২২) এবং আলম ব্যাপারীর ছেলে আরিফ ব্যাপারী (২১)।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি বলেন, আল আমিন মাদকাসক্ত ছিলেন। খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবকেরাও মাদকাসক্ত। আল আমিনের সঙ্গে গ্রেপ্তার যুবকদের বন্ধুত্ব ছিল। মাদক সেবন আর ব্যবসা নিয়ে বিরোধে আল আমিনকে হত্যা করেন বন্ধুরা।

গত শনিবার (৩ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে আল আমিন রাতের খাবার খেয়ে ঘর থেকে বের হন। এরপর আর তিনি রাতে বাড়ি ফেরেননি। পরদিন রোববার পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য স্থানগুলোতে খোঁজাখুঁজির পর তাঁর সন্ধান পাননি। রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয় কয়েকজন কিশোর মাঠের মধ্যে আল আমিনের লাশ দেখতে পেয়ে লোকজনকে জানায়। খবর পেয়ে ওই রাতে পুলিশ সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে। লাশের মাথা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পায়ে দড়ি দিয়ে বাঁধার চিহ্ন আছে। এ ঘটনায় গত সোমবার সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে নিহত আল আমিনের বাবা সিদ্দিক আকন বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় হত্যা মামলা করেছেন।