Thank you for trying Sticky AMP!!

মামলার খরচ চালাতে মোটরসাইকেল চুরি করেন তাঁরা

চট্টগ্রামে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ছয়জন

ছয়জনের একটি দল। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক চুরির মামলা। কেউ কেউ জেলও খেটেছেন। জেল থেকে বের হয়ে আবার জড়িয়েছেন অপরাধে। চুরি করা মোটরসাইকেল বিক্রি করে মামলার খরচ চালিয়েছেন। এই ছয় আসামিকে বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার রাতে চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানা-পুলিশ এই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করার খবর জানায়।  

গত শুক্রবার দিনব্যাপী অভিযানে আকবর শাহ থানার সিডিএ এলাকা, কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট ও চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকা থেকে এই ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছে ছয়টি মোটরসাইকেল পাওয়া গেছে। এসব চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানা থেকে চুরি করা হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন মিল্টন সরকার ওরফে মিল্টন কুমার সাহা ওরফে মো. সোহেল, মামুন আলম, মেহেদী হাসান, জালাল উদ্দিন, ইসমাইল হোসেন ও মহিন উদ্দিন।

পুলিশ জানায়, মিল্টন এর আগে বেশ কয়েকবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ১৬টি মামলা রয়েছে। চার মাস আগে জেলখানা থেকে মুক্তি পেয়ে আবার চুরিতে নামেন। মিল্টন নগরের বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করতেন। সেগুলো বিক্রিতে সাহায্য করতেন মেহেদী, মামুনসহ অন্য সহযোগীরা।

পুলিশ আরও জানায়, মেহেদীর নিজস্ব গ্যারেজ রয়েছে। তাঁকেও আগে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মিল্টনের সঙ্গে কখনো তিনিও চুরিতে অংশ নিতেন। এ ছাড়া চোরাই মোটরসাইকেল নিজের গ্যারেজে রেখে রং পরিবর্তন, তেল রাখার ট্যাংক, ইঞ্জিন নম্বর ও চেসিস নম্বর ঘষামাজা করে বিক্রি করতেন। তাঁর বিরুদ্ধেও চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আরেক আসামি মামুনের বিরুদ্ধেও পাঁচটি মামলা রয়েছে। তাঁরা এসব মামলার খরচ চালাতে চুরি করতেন মোটরসাইকেল।

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়ালী উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, মিল্টন, মেহেদী ও মামুনের জন্য আদালত দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। শনিবার এই রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।